কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল ছবি।
বার বার পুলিশ ও পুরসভার কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। পাম্পের মাধ্যমে পুকুর থেকে জলবার করে এবং সেটি ভরাট করেপাঁচিল তুলে নির্মাণ চলছে। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’-এ মেটিয়াবুরুজের নাদিয়াল এলাকার এক বাসিন্দার এমনগুরুতর অভিযোগ পেয়ে নাদিয়াল থানার ওসি-র বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ওই বাসিন্দা অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রোমোটার ও কয়েক জনদুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির পিছনের একটি বড় পুকুর থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে ভরাট করার কাজ করছেন। পুকুরের মাঝখানে পাঁচিল তোলা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুরসভা ও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ আজ, শনিবারের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন মেয়র। এ জন্য নাদিয়াল থানার ওসি-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন তিনি।
এ দিন ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বেআইনি নির্মাণেরও একাধিক অভিযোগ আসে। তালতলার এক বাসিন্দার অভিযোগ, পুরসভার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে একই প্রোমোটার একাধিক বেআইনি বহুতল তৈরি করছেন। আদালত দু’টি বহুতল ভাঙার নির্দেশ দিলেও তালতলা থানা বেআইনি বাড়ি ভাঙতে পুরসভাকে সহযোগিতা করছে না। পুলিশের কাছে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও ঘটনার কয়েক বছর পরেও চার্জশিট পেশ হয়নি। অভিযোগ শুনে মেয়র ওই বেআইনি বাড়ি ভাঙার জন্য বাহিনী চাইতে তালতলা থানার ওসি-র কাছে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ডিজি-কে চিঠি লিখতে বলেন। মেয়রের কথায়, ‘‘এর পরেও পুলিশ সহযোগিতা না করলে আদালতকে জানাব। নালিশ করা হবে সিপি-কেও।’’
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্বে মেয়র স্বয়ং। শহরে একের পর এক বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে নালিশে অন্য প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে মেয়র ব্যর্থ? মেয়রের যুক্তি, ‘‘শহরে কয়েকশো বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে। গুটিকয়েক অভিযোগ আসছে। ওই অভিযোগ পাওয়ার পরে যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’’