লালবাজরে বিক্ষোভে শামিল টলি অভিনেত্রীরা। ছবি: রিঙ্কি মদুমদার।
রাত বাড়ছে। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের সামনে অবস্থানে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দাবি একটাই, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে গভীর রাতে লালবাজারে এলেন টলিপাড়ার একঝাঁক শিল্পী। অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীলা দত্ত থেকে বাচিকশিল্পী অগ্নিকে দেখা গেল চিকিৎসকদের পাশে। তাঁরা কথা বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। অন্য দিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে ‘ডিউটি’ শেষ করে লালবাজারে চলে এসেছেন ‘সিনিয়র’ চিকিৎসকেরাও। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘ওদের বুস্ট আপ করার জন্য চলে এলাম।’’
রবিবারই আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন টলিউডের শিল্পী এবং কলাকুশলীরা। অনেকে পুরো রাত জেগেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন মঙ্গলবার রাতে চলে এসেছেন লালবাজারে। অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের কথায়, ‘‘গতকাল অনেকেই সারা রাত জেগেছি। কিন্তু আজ ওঁদের (জুনিয়র চিকিৎসকদের) এখানে আসতে দেখে চলে এসেছি। আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। আমরা পাশে আছি চিকিৎসকদের। বিচার না-মেলা পর্যন্ত আমরা অবস্থানে অনড় থাকব।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এত পড়াশোনা করে ওঁরা (চিকিৎসকেরা) এখানে এসেছেন। রাস্তায় এসে বসেছেন। বিচার চাইছেন। এঁরা তো রাজনীতি করতে আসেননি। সবার একটাই দাবি, ‘বিচার চাই’। ওঁদের পাশে থাকাটা আমাদের কর্তব্য।’’ দেবলীনা বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে কথা বলতে এত ব্যাপার! কথা বললেই হয়। তার জন্য এত বড় ব্যারিকেডের প্রয়োজন ছিল কি?’’
সোমবার রাতটা লালবাজারের রাজপথে কাটানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি ‘ভাল খবর।’ তাঁরা খুশি। তবে সেটা আন্দোলনের আংশিক জয় হিসাবে দেখছেন তাঁরা। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এই দাবিতে তাঁরা অনড় এবং এককাট্টা। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন আরজি করে ধর্ষিতা এবং খুন হওয়া চিকিৎসকের মা। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ‘রাত দখল’ অভিযানে আমি যাব। আমি যাবই। ওঁদের (চিকিৎসকদের) পাশে গিয়ে দাঁড়াব। আরজি করে ‘রাত দখল’ অভিযানে যোগ দেব।’’