দীপাবলি-পরবর্তী কলকাতার বাতাসে দূষণ কমল। —ফাইল ছবি
কালীপুজোর পর রেকর্ড গড়ল কলকাতার ও হাওড়ার বাতাস। এই দুই শহরের বাতাসে মঙ্গলবার দূষণের মাত্রা সবচেয়ে কম। অনেক বছর পর দীপাবলি-পরবর্তী শহরে এত কম দূষণ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কলকাতা এবং হাওড়ার বাতাসের মানসূচক ছিল যথাক্রমে ৩৭ এবং ৩৬। যাকে ‘ভাল’ বলা যায়। অন্য দিকে দিল্লি, চেন্নাই এবং মুম্বইয়ের বাতাসের মানসূচক ছিল যথাক্রমে ৩২৬ (অতি খারাপ), ২৩০ (খারাপ) এবং ১৯৩ (সহনীয়)।
কালীপুজোয় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বইছিল ঝোড়ো হাওয়া। সেই কারণেই মূলত হাওড়া এবং কলকাতায় কালীপুজোর রাতেও দূষণের পরিমাণ ছিল কম। প্রতি বছরের মতো বাজি পোড়াতে পারেননি মানুষ। তাই দীপাবলি-পরবর্তী সময়ে কলকাতা ও হাওড়ার বাতাসে তৈরি হল রেকর্ড।
গত বছর কালীপুজোয় কলকাতায় দেদার বাজি ফেটেছিল। পরের দিন সকালে বাতাসের মানসূচক পৌঁছে গিয়েছিল ২০৭-এ। তার আগের ৩ বছর কলকাতায় কালীপুজো-পরবর্তী বাতাসের মানসূচক ছিল যথাক্রমে ১৮৭, ২১৯ এবং ৩২৬। সে দিক থেকে এ বছর দূষণের মাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কম।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, কোনও শহরের বাতাসের মানসূচক ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তাকে ভাল বলা যায়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা হয় সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে সূচক পৌঁছলে সেই বাতাসকে সহনীয় বলা হয়। কিন্তু ২০১ থেকে ৩০০ সূচকে বাতাসের মান খারাপ। ৩০০ থেকে ৪০০ অতি খারাপ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ গুরুতর খারাপ।