ফাইল চিত্র।
শহরের জঞ্জাল, নিকাশির পলি ফেলার গাড়িতে জিপিএস বসাতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভার হিসেবে ওই কাজের জন্য এখন প্রায় ৫০০-র বেশি গাড়ি ব্যবহার হয়। যেগুলি জঞ্জাল ও পলি ফেলতে ধাপা ও অন্যত্র চলাচল করে। কিন্তু গাড়িগুলি কত ক্ষণ চলছে, চালক ফাঁকি দিচ্ছেন কি না— সে সবের উপরে নজরে রাখতেই জিপিএস বসানোর ভাবনা চলছে। পুরসভার কম্পিউটার থেকে জিপিএসের উপরে নজরদারি চলবে। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘খবর নিয়ে জেনেছি, সব গাড়ির গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য ঠিক ভাবে মিলছে না। অথচ পুরসভার কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। তাই গাড়িতে জিপিএস বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে শহর থেকে ধাপায় জঞ্জাল বহনের জন্য পুরসভার নিজস্ব শ’পাঁচেক গাড়ি প্রতিদিন চলে। এ ছাড়া রয়েছে ভাড়ার গাড়িও। আবার নিকাশি দফতরও পলি তুলে গাড়িতে চাপিয়ে বয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই কাজ নিয়মমাফিক হচ্ছে কি না, গাড়িতে কী মাল যাচ্ছে, কত সময় নিচ্ছে, এ সব নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে পুরমহলে। জঞ্জাল দফতর ও নিকাশি দফতরের আবর্জনা ও পলি তোলা এবং তার ট্রিপ চুরি কেলেঙ্কারি নিয়ে এক সময়ে হইচই হয়েছে পুর-মহলে। পুর অডিটে ধরাও পড়েছে সেই অনিয়ম। তা সত্ত্বেও অভিযোগ কমেনি। এ সব মাথায় রেখেই জিপিএস বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মেয়র।
পুরসভা সূত্রের খবর, আবর্জনা তোলার ৫০০ গাড়িতে জিপিএস বসাতে তিন বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ হবে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের সাহায্য নিয়ে জিপিএস বসানো হবে। তার খরচও মেয়র পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করানো হয়েছে। মেয়র জানান, আপাতত পুরসভার নিজস্ব গাড়িতে এবং পরে ভাড়ার গাড়িতে এবং নিকাশি দফতরের গাড়িতেও জিপিএস বসবে।