প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুর এলাকায় গাছপালা, পশুপাখি এবং জলাশয়ের হাল-হকিকত জানতে এ বার শহরে ঘুরবেন কলেজশিক্ষক ও পড়ুয়ারা। শহরের কোন ওয়ার্ডে কত গাছ রয়েছে, সব থেকে পুরনো গাছ কী রয়েছে, তার বয়স কত— এ সব তথ্য সংগ্রহ করবেন তাঁরা। কী কী পশুপাখি সেখানে রয়েছে, জলাশয় কতগুলো, তার মাপ আগে কী ছিল, এখন কী আছে— সবই দিতে হবে ওই তথ্যভাণ্ডারে। এ ব্যাপারে এলাকার প্রবীণ ও পুরনো বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশে। পরিবেশ আদালতের ভাষায় একে বলা হচ্ছে ‘জনবৈচিত্র্য নথি’। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পরিবেশ আদালত এই ধরনের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে বলেছে। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পরিবেশ আদালতের কাছে জমা দিতে হবে। অন্যথায় মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।
ওই নির্দেশ পাওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুর প্রশাসনে। সোমবার এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেন পুরসভার পার্ক, উদ্যান ও বনসৃজন দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তাঁকেই চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গঠন করেছে পুর প্রশাসন। দেবাশিসবাবু জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, লেডি ব্রেবোর্ন, বেথুন, বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ, মৌলানা আজাদ কলেজ-সহ মোট ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা ওই সমীক্ষা করবেন। ১০ মার্চের মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আপাতত কলকাতার ৩৭টি ওয়ার্ডে ওই কাজ শুরু হচ্ছে। দু’এক দিনের মধ্যেই কাজে নেমে পড়বেন সকলে।