ফাইল চিত্র।
শহরের বাসস্ট্যান্ডগুলির দেখভালের দায়িত্ব কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। দেখভালের শর্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংস্থা সেখানে বিজ্ঞাপন দিতে পারে। সে রকমই শহরের ২৯টি ‘বাস প্যাসেঞ্জার শেল্টার’ (বিপিএস) চিহ্নিত করেছে পুরসভা। সম্প্রতি এই বিষয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, শহরের অনেক বাসস্ট্যান্ডের হালই বেশ খারাপ। কোথাও কোথাও সেখানকার বসার জায়গাগুলি ভাঙাচোরা, অপরিষ্কার। আবার অনেক বাসস্ট্যান্ডে রাতে আলো জ্বলে না। ফলে কিছুটা বাধ্য হয়েই যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরে রাস্তায় এসে দাঁড়ান। ট্র্যাফিক-বিধি না মেনে যাত্রীদের তোলার জন্য বাসও এসে দাঁড়ায় ওই জায়গায়। সব মিলিয়ে তৈরি হয় এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতি দূর করতেই বাসস্ট্যান্ডগুলি পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দিচ্ছে পুরসভা।
দরপত্রে নির্বাচিত সংস্থাই বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার রাখা, সেখানে পর্যাপ্ত আলো লাগানো-সহ সার্বিক দেখভালের কাজ করবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পরিবর্তে তারা সেখানে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ পাবে। এক পুরকর্তা জানাচ্ছেন, বাসস্ট্যান্ডগুলিকে যাত্রীবান্ধব করে তোলার পরিকল্পনা বছরখানেক আগেই গ্রহণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি ২৯টি বাসস্ট্যান্ডের ক্ষেত্রে সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই তাদের ক্ষেত্রে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কার করা বা সেখানে আলো লাগানোই নয়, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় যাতে পুরুষ-মহিলাদের জন্য অস্থায়ী শৌচাগারের (মোবাইল টয়লেট) ব্যবস্থা করা যায়, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুর প্রশাসন। পুরকর্তাদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, শহরের অনেক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকাতেই শৌচাগার নেই। বরং বাসস্ট্যান্ড থেকে বেশ কিছুটা দূরে শৌচাগারের অবস্থান। এই সমস্যার সমাধানেই যেখানে যেখানে সম্ভব, সেখানে বাসস্ট্যান্ডগুলির পিছনে অস্থায়ী শৌচাগার বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।