কলকাতা পুরসভা। ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার কর আদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আসে সম্পত্তিকর থেকে। কিন্তু চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে চললেও এখনও সম্পত্তিকর বাবদ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে। এ বার সেই টাকা আদায়ে পুর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিদর্শনের উপরে জোর দিতে বললেন পুর কর্তৃপক্ষ।
চলতি আর্থিক বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে কর আদায় হয়েছে ১৪১৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে শুধু সম্পত্তিকর বাবদ আদায় হয়েছে ৮৮০ কোটি। গত বছরের নিরিখে সম্পত্তিকর বাবদ আয়ের পরিমাণ বাড়লেও তা আরও বাড়ানো যাবে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকেরা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। সেখানেই ওই বিভাগের ইনস্পেক্টর, আধিকারিকদের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখার উপরে জোর দিতে বলেছেন তিনি।
সম্পত্তিকর নির্ধারণে পুরসভা ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতি চালু করেছিল আগেই। এখন অনলাইনে সেই সম্পত্তিকর জমা দেওয়া যায়। কিন্তু নাগরিকদের একাংশ তাঁদের বাড়ির বিস্তারিত তথ্য অনলাইনে ঠিকঠাক দিচ্ছেন কি না, তা যাচাই করতে কর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক, ইনস্পেক্টরদের অফিসে বসে না থেকে বাড়ি বাড়ি ঘোরার নির্দেশ দিয়েছেন পুর কমিশনার।
একই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন জমি, বাড়ি, পুকুর-সহ যাবতীয় সম্পত্তির মিউটেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় পুরসভা। কারণ, মিউটেশনের সংখ্যা বাড়লে সম্পত্তিকর বাবদ আদায়ও বাড়বে। গত শুক্রবার কলকাতা পুরসভার কর রাজস্ব বিভাগের সব আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পুর কমিশনার। চলতি অর্থবর্ষের বাকি দু’মাসে কর আদায় কী ভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কর রাজস্ব আধিকারিকদের সক্রিয় হতে নির্দেশ দেন তিনি।
পুরসভা সূত্রের খবর, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে কর আদায়ের উপরে তেমন জোর দেওয়া হয় না। কিন্তু এ বার পুর কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই মোটা টাকার বকেয়া কর আদায়ে কঠোর অবস্থান নেবে পুরসভা। কর রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মোটা টাকার কর খেলাপ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা আগেই শুরু হয়েছিল। এ বার আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।’’