ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল ছবি।
দেবীপক্ষের সূচনা হতে বেশি দিন বাকি নেই। তার আগে শহরের রাস্তাঘাটের হালহকিকৎ জানতে এ বার রাস্তায় নামছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সব ঠিক থাকলে শারদোৎসব শুরুর আগে শহর ঘুরে দেখবেন তিনি।
পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী সোমবার রাত ৯টা নাগাদ জওহরলাল নেহরু রোড থেকে কলকাতা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে শহরের পথঘাটের অবস্থা দেখতে বেরোবেন মেয়র। সেখান থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে যতীন্দ্রমোহন রোড, শ্যামবাজার, এপিসি রোড, উল্টোডাঙা, সিআইটি রোড, কাঁকুড়গাছি, ফুলবাগান, শিয়ালদহ, এজেসি বোস রোড, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, টালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর পেট্রল পাম্প, জেমস লং সরণি, জোকা, মোমিনপুর, জাজেস কোর্ট রোড হয়ে হাজরা মোড়ে শেষ হবে পরিদর্শন পর্ব।
মাসখানেক আগে পুরসভাকে রাস্তা মেরামতের একটি তালিকা দিয়েছিল লালবাজার। সেখানে মোট ৩০০টি রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় মেরামতির কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভায় আয়োজিত এক পুজো সংক্রান্ত বৈঠকে ওই রাস্তাগুলির মেরামতির গতিপ্রকৃতি প্রসঙ্গেও খোঁজ নিয়েছেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘গত এক মাস যে ভাবে ধারাবাহিক এবং বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে রাস্তা মেরামতের কাজ বার বার ব্যাহত হয়েছে। তা-ও আমরা কাজ চালিয়ে গিয়েছি। কিন্তু রাস্তার সবচেয়ে বড় শত্রু হল বৃষ্টির জল। রাস্তা মেরামত করা হলেও বার বার বৃষ্টি হয়ে রাস্তাগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুজোর প্যান্ডেলে ঢোকার মূল রাস্তাগুলি আমরা ঠিক করে দিয়েছি। কিন্তু কলকাতা শহরে অলিগলিতেও অনেক পুজো হয়। সেগুলিও মানুষ দেখতে যান। সে ক্ষেত্রে যাতে দর্শনার্থীদের অসুবিধা না হয়, সে দিকে আমাদের নজর রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর পুজোর আগে রাস্তা এবং গঙ্গার ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন মেয়র। সোমবার রাতে শহর পরিদর্শন করবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে শনি-রবি জুড়ে কলকাতার সব রাস্তায় পুরসভা মেরামতির কাজে গতি এনেছে। তবে কলকাতা শহরে এমন কিছু রাস্তা রয়েছে যেগুলি দেখভালের দায়িত্ব বিভিন্ন সংস্থার হাতে। বাইপাসের ধারে কিছু রাস্তা রয়েছে কেএমডিএ-র হাতে। আবার মেয়রের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দরের বড় অংশের রাস্তা মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট। আবার এমন রাস্তাও রয়েছে, যেগুলির দায়িত্ব পূর্ত দফতরের হাতে। তাই সেই সব রাস্তা মেরামতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলবেন কলকাতা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকরা।