(বাঁ দিক থেকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং ফিরহাদের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।
মেয়র ফিরহাদ (ববি) হাকিমের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না কলকাতা পুরসভা। এমনকি, কোনও তদন্তেরও সম্মুখীন হতে হবে না তাঁকে। শনিবার পুরসভার তরফে এ কথা জানিয়ে তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের এক কর্মী অয়ন ঘোষ দস্তিদার শেক্সপিয়র সরণি থানায় শুক্রবার কালীচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, অভিষেকের নাম করে কালীচরণ টাকা তুলেছেন। কিন্তু শনিবার পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত মেয়রের ওএসডি-র বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। এমনকি কোনও তদন্তও হবে না তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, শনিবার কলকাতা পুরসভার এসে অন্যান্য দিনের মতোই কাজ করেছেন কালীচরণ।
প্রতি শনিবার ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচি হয় পুরসভায়। যেখানে শহরবাসীর সঙ্গে তাঁদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন মেয়র ফিরহাদ। কিন্তু শনিবার এই কর্মসূচি করেননি তিনি। বন্যাকবলিত মালদহে গিয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিষেকের দফতরের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে পুরসভার ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘মেয়রের ওএসডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা আমরা সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। অভিযোগকারী বা কলকাতা পুলিশ— কেউই আমাদের কাছে কোনও অভিযোগের কথা জানাননি। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই ওই ওএসডি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বা তদন্ত কোনও কিছুই হবে না।’’ প্রশাসনিক নিয়মের কথা উল্লেখ করে ওই আধিকারিক আরও বলেন, ‘‘যদি কলকাতা পুরসভার কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ জমা পড়ে, তা হলে তিন ধরনের তদন্তের সম্মুখীন হতে হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। সে ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত, অভ্যন্তরীণ তদন্ত এবং ভিজিলেন্স তদন্ত আমরা করাতে পারি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এখনও কোনও অভিযোগই আমাদের কাছে আসেনি। তাই কোনও প্রকার তদন্তের কোনও প্রশ্নই আসছে না।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দফতর থেকে পুলিশে মেয়রের ওএসডি-র নামে অভিযোগ জমা পড়লেও ফিরহাদ অভিযুক্ত কালীচরণের পাশেই রয়েছেন। তাই শুক্রবার অভিযোগ করা হলেও, শনিবার কালীচরণ মেয়রের দফতরে এসে কাজ করেছেন। তবে পুরসভার আধিকারিকেরাও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করছেন না।
প্রসঙ্গত শুক্রবার ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। যদি এমন কোনও অভিযোগ থাকে, আমাকেই তো বলতে পারত। আমি বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করতাম। এখন একটা মানুষের নামে যদি এমন কোনও অভিযোগ আসে, যার ভিত্তি নেই, তাঁকে আমি কী করে সরাব? এই অভিযোগের কথা আমি আগে কোনও দিন শুনিনি।’’ তবে শনিবার মেয়র বা তাঁর ওএসডি এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।