মশার বিনাশে পুরসভার বড় ভরসা ‘বিনাশ’ 

শহরে এমন অনেক বাড়ি ও দুর্গম জায়গা রয়েছে, যেখানে মশা মারতে পৌঁছতে পারেন না পুরসভার কর্মীরা। সেই সব ক্ষেত্রে ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলা হবে জায়গাটির। প্রয়োজনে ছড়ানো হবে রাসায়নিকও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১৭
Share:

ধর্মতলায় ড্রোন ওড়াল পুরসভা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

ধর্মতলার ফুটনানি চেম্বার পুরসভারই মালিকানাধীন। পুর ভবন থেকে দূরত্ব মেরেকেটে ২০ ফুট। সেই ভবনের ছাদই ভর্তি হয়ে রয়েছে আগাছায়। হয়তো জঞ্জালও জমে আছে। তবে বাইরে থেকে তা দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানেই উড়ে গেল পুরসভার ড্রোন। তার পেটে ১৬ লিটার মশার লার্ভা মারার তরল। ফুটনানির ছাদে তা ছড়িয়ে দিল ওই উড়ুক্কু যান।

Advertisement

শহরে এমন অনেক বাড়ি ও দুর্গম জায়গা রয়েছে, যেখানে মশা মারতে পৌঁছতে পারেন না পুরসভার কর্মীরা। সেই সব ক্ষেত্রে ড্রোন উড়িয়ে ছবি তোলা হবে জায়গাটির। প্রয়োজনে ছড়ানো হবে রাসায়নিকও। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তারই মহড়া হল কলকাতা পুর ভবনের ছাদে। ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ পুর স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তারা। মশা-নিধনকারী ওই ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিনাশ’। পুর প্রশাসনের দাবি, এই ধরনের ড্রোন শহরে ডেঙ্গি দমনে বিশেষ ভূমিকা নেবে, যা দেশের মধ্যে কলকাতা পুরসভাতেই প্রথম চালু হচ্ছে।

পুরসভার ওই ড্রোন সাধারণ ড্রোনের থেকে বেশ বড়। তাতে ‘মাল্টি ফেসিলিটি’ ক্যামেরা রয়েছে। লাগানো আছে চারটি স্প্রিঙ্কলার। নীচে রয়েছে ১৬ লিটার তরলের ট্যাঙ্ক।

Advertisement

‘বিনাশ’ অনেকটা রোবটের মতো। ২০০ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে। কলকাতায় এমন অনেক বাড়ি আছে, যার ছাদে জল জমে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে পৌঁছতে পারেন না পুরকর্মীরাও। অনেক জায়গায় খালপাড় বা গলির মধ্যেও ঢোকা যায় না। ড্রোন সেখানেও ব্যবহার করা হবে বলে জানান অতীনবাবু। জলের নমুনাও পরীক্ষা করতে পারবে ওই যন্ত্রটি।

পুরসভা সূত্রের খবর, এ বছর ৯৯, ১৩১ ও ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি দেখা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডগুলিতে ঘুরবে ড্রোন। থাকবে পুরসভার দলও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement