—ফাইল চিত্র।
এক দিনেই মিউটেশন প্রক্রিয়া যাতে সম্পূর্ণ হয়, এ বার সে নিয়ে উদ্যোগী হচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এমনিতে মিউটেশন নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে পুরসভায়। বিলম্বিত প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভাকে কাঠগড়ায়ও দাঁড় করান নাগরিকদের একাংশ। পুরসভা সূত্রের খবর, সেই সমস্যা মেটাতেই এই পরিকল্পনা হচ্ছে। এ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু দিনের মধ্যেই নেওয়া হবে।
এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গেই যাতে মিউটেশন ব্যবস্থাকে সংযুক্ত করা যায়, সে চেষ্টা করছি আমরা। তাতে রেজিস্ট্রির সঙ্গে সঙ্গে মিউটেশনও করে দেওয়া যাবে।’’ মিউটেশনের যে কেসগুলি অপেক্ষাকৃত জটিল, সেগুলির ক্ষেত্রে পুরসভা আবার নাগরিকদের ফোনে সরাসরি তথ্য পাঠাতে চাইছে। যাতে সংশ্লিষ্ট নাগরিক বাড়িতে বসেই বুঝতে পারেন তাঁর মিউটেশনের আবেদনের ফাইলটির বর্তমান ‘স্ট্যাটাস’। সে ক্ষেত্রে নাগরিকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখবে পুরসভা। তা ছাড়া অনেক সময়ই মিউটেশন করাতে গেলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় অনেককে। সেটা যাতে না হয়, তাই কেন্দ্রীয় পুর ভবনের পাশাপাশি বরো অফিসেও শুধু মিউটেশনের জন্য ‘হেল্প ডেস্ক’ চালু করা হবে।
শুধু তাই নয়, মিউটেশন করাতে গিয়ে নাগরিকদের যাতে হেনস্থা না হতে হয়, তাই পুর আধিকারিকদের বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কাজে গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে কারণ দর্শতা বলা হবে। ইতিমধ্যেই মিউটেশন প্রক্রিয়ায় নাগরিকের সঙ্গে ‘সহযোগিতা’ না করার জন্য কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এক পুর আধিকারিককে। পুরসভা সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে অন্য দফতরে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে।
মিউটেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে যাতে কম কাগজ লাগে, সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন পুরকর্তারা। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিউটেশন করাতে গেলে একগুচ্ছ কাগজ জমা দিতে হয় বলে অভিযোগ জমা পড়েছে নাগরিকদের তরফে। এক পদস্থ পুরকর্তার কথায়, ‘‘প্যান কার্ড, আধার কার্ড বা অন্য কাগজ ছাড়া মিউটেশন প্রক্রিয়া যাতে সহজ করা যায়, সেটাই দেখা হচ্ছে। শুধু দলিল দিলেই কাজ হবে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছি।’’