—ফাইল চিত্র।
আর পুর কমিশনারের ঘর ঘুরে নয়। সময় বাঁচিয়ে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দিতে এ বার আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় গড়ে তোলার উপরে জোর দিয়েছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। তাই সমন্বয় গড়ে তোলার প্রাথমিক যে ধাপ, সেই ফাইল চালাচালির কাজ যাতে দ্রুত হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্তের কথা সব দফতরে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই রাজ্য সরকারের ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিতে পুর পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে পুরকর্তা-আধিকারিকদের রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। তার উপরে পরিষেবা দ্রুত দেওয়ার জন্য আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় গড়ে তোলার নির্দেশকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এত দিন কোনও দফতরের কোনও কাজ থাকলে তা অনুমোদনের জন্য সরাসরি পুর কমিশনারের কাছে পাঠানো হত। তার পরে কমিশনারের অফিসের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট ফাইল ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত অন্য দফতরে পৌঁছত। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘অন্য দফতর তাদের মতামত বা বক্তব্য জানানোর পরে ফের সেই ফাইল যেত কমিশনারের কাছে। সব মিলিয়ে সময়ের অনেক অপচয় হত।’’
সেই অপচয় রুখতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে দফতর থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্প বা কাজের ফাইল আসবে, সেই দফতরই নিজে উদ্যোগী হয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত অন্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। সংশ্লিষ্ট পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ সম্পর্কে তাদের কী মত বা কোনও বক্তব্য রয়েছে কি না, তা লিখিত ভাবে জানবে। তার পরে সমস্ত বক্তব্য এবং মতামত একত্রিত করে ফাইল পাঠানো হবে পুর কমিশনারের কাছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘এ ক্ষেত্রে সব দফতরের মতামত এবং বক্তব্য দেখে কমিশনার একেবারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তার জন্য দু’বার করে তাঁর কাছে ফাইল পাঠাতে হবে না। ফলে সময় বাঁচবে, নাগরিকেরাও দ্রুত পরিষেবা পাবেন।’’