প্রতীকী ছবি।
খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানো শহরের বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। তা বন্ধ করতে সরকারি তরফে বিভিন্ন সময়েই বেশ কিছু উদ্যোগ দেখা যায়। কিন্তু তার পরেও সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হয়নি বলে মনে করছেন পরিবেশকর্মীরা। কারণ, এখনও বহু জায়গায় প্রকাশ্যেই আবর্জনা পোড়ানো হয় বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
কলকাতা পুরসভা অবশ্য জানাচ্ছে, খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানো বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুর আধিকারিকেরা এলাকা ভাগ করে নজরদারিও চালাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, আবর্জনা পোড়ানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ১০টি ক্ষেত্রে পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দফতর নোটিস পাঠিয়েছে। তাদের মধ্যে আবার দু’টি ক্ষেত্রে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ (এনভায়রনমেন্টাল কমপেনসেশন) হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা করে আদায়ও করা হয়েছে। সেই সমস্ত তথ্য সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালতে জানানোও হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
যদিও পরিবেশকর্মীদের দাবি, এত বড় শহরে মাত্র দু’টি ক্ষেত্রে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ নেওয়ার এই তথ্যই চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে যে, নজরদারির কাজ কেমন হচ্ছে! এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘যত্রতত্র আবর্জনা পোড়ানো হয়। সেখানে পুরসভার তরফে যে সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। তা ছাড়া মাত্র দু’টি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে!’’ পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, এলাকাভিত্তিক নজরদারি চালাতে যে পরিমাণ লোকবল এবং পরিকাঠামো লাগে, তা পুরসভার নেই। তাই কোনও কোনও জায়গায় হয়তো খামতি থেকে যাচ্ছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘আমাদের নজরে পড়লে তখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন গলির মধ্যে কেউ আবর্জনা পোড়ালে সেটা সব সময়ে নজরে রাখা সম্ভব হয় না।’’
খোলা জায়গায় আবর্জনা পোড়ানোর পাশাপাশি ধাপার আবর্জনায় মাঝেমধ্যে আগুন লেগে যাওয়াটাও পুরসভার কাছে মাথাব্যথার কারণ। এ নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীরাও। সে কারণে পরিবেশ আদালতে জমা দেওয়া তথ্যে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে ধাপায় দমকল রাখা রয়েছে। প্রয়োজনমতো তারা আগুন নেভানোর কাজ করছে।