জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশে সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
বহু প্রতীক্ষার পর উদ্বোধন হল জোকা-তারাতলা রুটের মেট্রোর। শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর এই নয়া রুটের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। ১১টা ৪৫ মিনিটে বন্দে ভারতের উদ্বোধনের পর জোকা-তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে পৌঁছে যান রেলমন্ত্রী। জোকা স্টেশনে মেট্রো স্মার্ট কার্ডের জি২০-এর প্রতীক দেওয়া নতুন নকশাও উন্মোচন করেন তিনি। রেলমন্ত্রী এবং বাকি আধিকারিকদের নিয়ে জোকা থেকে তারাতলা পৌঁছয় নতুন মেট্রো।
জোকা-তারাতলা রুটে মোট ৬টি স্টেশন রয়েছে। তবে প্রথম দিনের সফরের সময় মেট্রোটি কোনও স্টেশনে দাঁড়ায়নি। রেলমন্ত্রী এবং বাকি আধিকারিকদের নিয়ে জোকা থেকে শুরু করে একবারে তারাতলা স্টেশন গিয়ে পৌঁছয় মেট্রোটি।
মেট্রোর প্রথম সফরের সাক্ষী ছিল স্থানীয় একটি স্কুলের পড়ুয়ারা। খুদে পড়ুয়াদের বক্তব্য, বাস-অটো করে স্কুলে যাওয়ার সময় তাদের প্রায়ই যানজটে পড়তে হত। এই কারণে মাঝেমধ্যেই স্কুলে পৌঁছতে দেরি হত তাদের। কিন্তু মেট্রো চালু হওয়ায় সেই সমস্যার সমাধান হবে বলেও তারা জানিয়েছে।
মেট্রো রেল চালু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বেহালাবাসীও। তাঁরা জানিয়েছেন, জোকা-তারাতলা রুটে অনেক বাস এবং অটো চলে। কিন্তু বাস-অটো করে এই সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লেগে যায় ঘণ্টাখানেক। মেট্রো চালু হলে সেই রাস্তায় অতিক্রম করা যাবে মাত্র ১৫-২০ মিনিটে। বেহালাবাসীর দাবি, তারাতলা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর বাকি কাজও যেন খুব শীঘ্রই শেষ করা হয়। শুক্রবার মেট্রো চালু হওয়ার সময় উপস্থিত মানুষদের মধ্যে অনেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে স্লোগান তোলেন।
৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হলেও জনসাধারণের জন্য পরিষেবা চালু হবে ২ জানুয়ারি থেকে। আপাতত এই রুটে একটি মেট্রোই যাতায়াত করবে। সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। সর্বোচ্চ ২০ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১০-১১ অর্থবর্ষে জোকা থেকে ধর্মতলার মেট্রো রুটের রূপায়নের জন্য সাংসদে বাজেট পেশ করা হয়েছিল। তার পরের বছর এই মেট্রো রুটের শিলান্যাস করা হয়। তার পর থেকে কাজ চলছিল ধীর গতিতে। নানা সময়ে জমি জটের কারণেও থমকে থেকেছে এই নয়া রুটের মেট্রোর কাজ। তবে বিগত কয়েক বছরে সেই কাজে গতি এসেছিল।