হাওড়া ব্রিজ থেকে স্টেশন যাওয়ার কয়েকশো মিটার রাস্তা জুড়ে রয়েছেন শুধু মোদী এবং মমতা। নিজস্ব চিত্র।
মা হীরাবেন মোদীর সদ্য প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফর বাতিল হলেও হাওড়া স্টেশন চত্বর জুড়ে রয়েছেন শুধু তিনি। সঙ্গে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হাওড়া ব্রিজ থেকে স্টেশন যাওয়ার ওই কয়েকশো মিটার রাস্তা জুড়ে রয়েছেন শুধু মোদী এবং মমতা।
শুক্রবার হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করতে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী আসছেন বলে বিজেপি নেতাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছিল চরম ব্যস্ততা। বৃহস্পতিবার রাতের প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে যান খোদ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অভ্যর্থনায় কোনও ত্রুটি না রাখতে দলের তরফে ঢেলে সাজানো হয়েছিল হাওড়া স্টেশন চত্বর। হাওড়া স্টেশনের আগে রাস্তা ভাগ করার রেলিংগুলিতে লাগানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বড় বড় হোর্ডিং, পোস্টার এবং পতাকা। রাস্তা থেকে কিছুটা উঁচুতেও বেশ কয়েকটি হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল। মোদীর পাশাপাশি হোর্ডিং এবং পোস্টারে জায়গা পেয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে কম যায়নি তৃণমূলও।
মোদীর হোর্ডিং-পোস্টার পড়তেই উঠেপড়ে লাগে রাজ্যের শাসকদলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের তরফে মোদীর পোস্টারের মাঝে মাঝে লাগানো হয়েছে দলনেত্রী মমতার পোস্টার এবং হোর্ডিং। পদ্মশিবিরের পতাকার পাশে শোভা পেয়েছে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা। প্রধানমন্ত্রী মোদীর হোর্ডিংয়ের প্রায় সমান হোর্ডিং লাগানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতারও। দুই দলের কর্মীরা কেউ কাউকে হাওড়া স্টেশন চত্বরের এক বিন্দু জমি ছাড়তে রাজি হয়নি।
রাজ্য বিজেপির কর্মীরা মোদীর অভ্যর্থনার জন্য এত ঘটা করে সাজালেও প্রধানমন্ত্রীর তা চাক্ষুষ করা হল না। শুক্রবার ভোরে মারা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। আর সেই জন্যই কলকাতা সফর বাতিল করে আমদাবাদ পৌঁছে গিয়েছেন মোদী।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসার পর জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাক্ষাতের কথা ছিল। কিন্তু মাতৃবিয়োগ হওয়ায় এই বৈঠকে শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকছেন না মোদী। তবে তিনি ভার্চুয়ালি সব কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর।