— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কেটে গিয়েছে ১১০০ দিন। ধৈর্যেরও একটা সীমা আছে। তাই আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হলে তাঁরা এ বার আত্মহত্যার পথে যেতে পারেন। সোমবার দুপুরে এমনই হুঁশিয়ারি শোনা গেল নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের ‘এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ’-এর সদস্যদের গলায়। এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে ওই মঞ্চের রাজ্য কোঅর্ডিনেটর সুদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর বৈঠক হচ্ছে। কিন্তু সমাধান বেরোচ্ছে না। লোকসভা ভোটের আগেই আমরা স্কুলে চাকরি চাই। তাই দরকার, দ্রুত কাউন্সেলিং। কিছু দিন পরেই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন আদর্শ আচরণবিধির অজুহাত আমরা শুনব না। কারণ, এই নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। তাই আমাদের নিয়োগ আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে পড়বে না।’’ এর পাশাপাশি, মঞ্চের সভাপতি মইদুল ইসলাম জানিয়ে দেন, সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করলে তাঁরা এ বার আত্মহননের পথ বেছে নিতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আত্মহননের হুমকি দিয়ে আন্দোলন কোনও পথ নয়। আলোচনাই পথ। আন্দোলনের সঙ্গে চাকরির কোনও সম্পর্ক নেই। একটা জট হয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা ছাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। একটা প্রক্রিয়া চলছে। আইনি বিষয় রয়েছে সবটাতেই।’’
অন্য দিকে, নবম থেকে দ্বাদশের আর একটি দল ‘বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চ’-এর সদস্যেরা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরাও সেখানে দাবি জানান, লোকসভা ভোটের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এক চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বলেন, ‘‘কুণালবাবু এই সপ্তাহে আবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা বলেছি, বৈঠকে লোকসভা ভোটের আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’’
এ দিন শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরাও। তাঁদের দাবি, প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পরে দ্রুত দ্বিতীয় কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে এবং যোগ্য প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে। শিয়ালদহ থেকে এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত আসে ওই মিছিল। দফায় দফায় রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়েও রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাতে ধর্মতলা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি রাস্তা কিছু ক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে।
এক চাকরিপ্রার্থী সুশান্ত ঘোষ জানান, উচ্চ প্রাথমিকের ১৪৩৩৯টি শূন্য পদের মধ্যে মেধা তালিকায় নাম উঠেছে ১৩৩৩৪ জনের। এর মধ্যে ৮৯০০ জনের প্রথম কাউন্সেলিং হয়েছে। দ্বিতীয় কাউন্সেলিং বাকি আছে। বুধবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি আছে ডিভিশন বেঞ্চে।