ছবি: সংগৃহীত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সিমেস্টারের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে প্রথমে আসবেন, সেই বিষয়টি পৃথক ভাবে ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শাখা— কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং। যে সিমেস্টারের পড়ুয়ারা আগে ক্যাম্পাসে আসবেন, তাঁরা কী ভাবে আসবেন, তা আবার ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট শাখার নির্দিষ্ট বিভাগ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের বৈঠকে এমনই ঠিক হয়েছে। যে হেতু তিনটি শাখার অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার এক নয়, সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে কোন পড়ুয়ারা প্রথমে আসবেন, এ দিন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই ৯ নভেম্বর আবার বৈঠক হতে পারে।
এরই মধ্যে ক্যাম্পাস খোলা এবং ক্লাস হওয়া নিয়ে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানেরা কী ভাবছেন, তিন শাখার ডিনদের সেই বিষয়টি জানতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা) চেয়েছিল, পড়ুয়াদের ধাপে ধাপে আনা হোক। এ দিনের বৈঠকে সেই বিষয়ে একমত হয়েছেন সদস্যেরা। ঠিক হয়েছে, যাঁদের কোর্স শেষ বা শেষ হওয়ার মুখে, তাঁদের এখনই আনা হবে না।
এ দিকে, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষাগারগুলির পরিস্থিতি ভাল নয়, কিছু যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে আছে। হস্টেলেও মেরামতিরও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যাতে এই কাজগুলির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন, বৈঠকে শিক্ষকদের তরফে সেই দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্যাম্পাস খোলার আগে কত জন পড়ুয়া প্রতিষেধকের একটি ডোজ় পেয়েছেন, ক’জন দু’টি ডোজ়ই পেয়েছেন— সেই বিষয়ে সমীক্ষার দাবিও তোলেন শিক্ষকেরা।