ফাইল চিত্র
উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ-নির্দেশিকা মেনে নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির চূড়ান্ত সিমেস্টারের মূল্যায়ন হবে সেই ৭০%-৩০% পদ্ধতিতে। সিদ্ধান্ত বদলাতে দেননি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ভঙ্গ হচ্ছে। বুধবার পরীক্ষা সংক্রান্ত বোর্ডের প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টার অনলাইন-বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মূল্যায়ন হবে আগের পদ্ধতিতেই।
বৈঠক শুরু হয় এ দিন দুপুরে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে প্রথমেই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এমনকি, পড়ুয়ারাও পরীক্ষা সংক্রান্ত বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করেন শিক্ষকেরা। সন্ধ্যার দিকে ছাত্র সংসদের সদস্যেরা আবার বৈঠকে প্রবেশ করেন। শেষ পর্যন্ত রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত জানান।
বৈঠক শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংসদের চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘‘বলা হয়েছিল, ৭০% নম্বর নেওয়া হবে হোম অ্যাসাইনমেন্ট থেকে। বাকি ৩০% আগের সিমেস্টারগুলির মধ্যে যেটিতে সব থেকে বেশি নম্বর উঠেছে, তার থেকে। অনেক পড়ুয়া হোম অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশ মানা সম্ভব নয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারও ভঙ্গ হয়।’’
সূত্রের খবর, এ দিন কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগের চূড়ান্ত সিমেস্টারে উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শ-নির্দেশিকা মেনে মূল্যায়ন হবে ঠিক হলেও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ফের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই বিভাগে ২০% অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন থেকে নেওয়ার কথা। প্রাথমিক ভাবে সেটি মেনে নিয়েও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ওই ২০% নেওয়া হোক আগের সিমেস্টারের ফলের ভিত্তিতে। সাপ্লিমেন্টারি হয়েছেন যে পড়ুয়ারা, এ দিন তাঁদের নম্বর দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্য বৈঠকে ছিলেন না। দুই সহ-উপাচার্যকে বারবার ফোন করেও কথা বলা যায়নি।
অন্য দিকে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ম্যাকাউট) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চূড়ান্ত সিমেস্টারের যে পড়ুয়ারা আগের সিমেস্টারে ‘ব্যাক’ পেয়েছিলেন, তাঁদের পাশ করানোর জন্য যত নম্বর দরকার তা ‘গ্রেস’ দেওয়া হবে। পরীক্ষা-নিয়ামক শুভাশিস দত্ত বলেন, ‘‘পরীক্ষা যে হেতু নেওয়া যাচ্ছে না, তাই গ্রেস দেওয়া ছাড়া সম্ভব নয়। না হলে ডিগ্রি দেওয়া যাবে না। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সর্বাধিক ১৫ নম্বরের বেশি কাউকে গ্রেস দিতে হবে না।’’ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। ম্যাকাউটে ৮০%-২০% পদ্ধতিই মানা হচ্ছে। ‘ব্যাক’ পাওয়া পড়ুয়া এবং চূড়ান্ত বর্ষের (পার্ট থ্রি) বিএ, বি এসসি-র পরীক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ নম্বর কী ভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের বৈঠক বসছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও।