Buddhadeb Bhattacharya

ফুরফুরার তাজা কই আর শিঙি গেল অসুস্থ বুদ্ধদেবের বাড়িতে, সঙ্গী দলের নেতাকে চাঙ্গা দেখতে চান সিদ্দিকি

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। ১২ দিন হাসাপাতালে থাকার পরে গত ৯ অগস্ট বাড়িতে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে যান আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নিয়ে যান মাছ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ২০:২৩
Share:

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। — ফাইল চিত্র।

চিকিৎসকরা বলেন, জিয়ল মাছ রোগীর পথ্য হিসাবে খুবই ভাল। অসুস্থদের চাঙ্গা হওয়ার জন্য তাই কই, শিঙি, মাগুর খেতে বলা হয়। সদ্যই গুরুতর অসুখ থেকে ওঠা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে গিয়ে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে দেশি কই ও শিঙি মাছ পৌঁছে দিয়ে এলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বুদ্ধদেবের সঙ্গে দেখা বা কথা হয়নি। মীরা ভট্টাচার্যের কাছেই তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন। পরে মীরাদেবীর হাতে নিজের গ্রাম ফুরফুরা থেকে নিয়ে যাওয়া মাছ তুলে দেন। এ প্রসঙ্গে নওশাদ বলেন, ‘‘মাছ দিতে যাওয়াটা আসল নয়। আমি ওঁর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে এসেছিলাম। বাঙালি মাত্রই মাছ খেতে ভালবাসেন। আর বুদ্ধবাবুও মাছ ভালবাসেন শুনেছি। সে কারণেই দেশি মাছ নিয়ে গিয়েছিলাম।’’

Advertisement

বুদ্ধদেব যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন রাজনীতিতে আসেননি নওশাদ। তিনি যখম বাম ও কংগ্রেসের সমর্থনে গত বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ে লড়াই করেন তখন বুদ্ধদেবকে পাশে পাননি। তবে এটা ঠিক যে, জোটের নেতা বুদ্ধদেব যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন, তখন দেখতে গিয়েছিলেন নওশাদ। গত ৯ অগস্ট ১২ দিন হাসপাতালে থাকার পরে বাড়ি ফেরেন বুদ্ধদেব। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, আপাতত মাসখানেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হোম কেয়ার সাপোর্টে রাখা হবে। সেই মতোই চিকিৎসা চলছে।

বৃহস্পতিবার নওশাদকে ভবানী ভবনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সিআইডি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে ভাঙড়ে একটি খুনের মামলায় তাঁকে ডাকা হয়। দুপুর ২টো ২০ মিনিটে ভবানীভবনে যান নওশাদ। তার আগেই গিয়েছিলেন বুদ্ধদেবকে দেখতে। দুপুরে নওশাদ যখন পাম অ্যাভিনিউয়ে বুদ্ধদেবের ফ্ল্যাটে পৌঁছন, তখন ঘুমোচ্ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি কথা বলতে পারেননি বলে জানান নওশাদ। তবে তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই ভাঙড়ের বিধায়কের। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই খুব তাড়াতাড়ি বুদ্ধবাবু সুস্থ হয়ে উঠুন। সকলেই এটা চান। সেই চাওয়া থেকেই আমি খোঁজ নিয়ে এলাম।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement