—প্রতীকী ছবি।
হকার সমীক্ষার কাজে না গিয়ে শোকজ়ের মুখে পড়েছেন কলকাতা পুরসভার একঝাঁক কর্মী। পুরসভা সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে নবান্নে এক বৈঠক করে কলকাতা শহরের ফুটপাথ দখলদার মুক্ত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজ করতে একটি কমিটিও গড়ে দেন তিনি। সেই কাজে হাত দিয়েই কলকাতার ফুটপাথের হকারদের নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করে পুরসভা। সিদ্ধান্ত হয়, কলকাতা পুরসভার ১৬টি বোরো কমিটির হয়ে মোট ১১২টি দল কাজ করবে। প্রত্যেকটি দলে ছ’জন করে কর্মী থাকবেন। সব মিলিয়ে ৬৭২ জন কর্মীকে এই কাজে নামানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কিন্তু কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ জেনেছে যে, হকার সমীক্ষার কাজে নেমেছেন ৫৬০ জন। পরে খোঁজ নিয়ে পুর আধিকারিকেরা জানতে পারেন, সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা ৫০ জন কাজেই যোগদান করেনি। তাঁরা কেউ সমীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পর্যন্ত আসেননি বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।
প্রায় এক মাস হতে চলল হকার সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কাজে যোগদান না করায় ওই ৫০ জনকে শোকজ়ের চিঠি ধরানো হয়। পাশাপাশি, ওই কর্মীদের কাজে যোগদান না করা নিয়ে সমীক্ষার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। তাই ঠিক করা হয়েছে, নতুন করে ৩০ জন পুরকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে হকার সমীক্ষার কাজে নামানো হবে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সমীক্ষার কাজে যোগ না দেওয়ায় অনেক কর্মীকে শোকজ় করা হয়েছিল। তাঁদের অনেকেই শোকজ়ের জবাব দিয়েছেন। তবে সেই সব জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি পুর আধিকারিকেরা। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত কলকাতা পুরসভার লক্ষ্য, দ্রুত হকার সমীক্ষার কাজ শেষ করে রিপোর্ট নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা দেওয়া।
হকার সমীক্ষার কাজে গেলে পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৩১ জুলাই বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে হকার সমীক্ষার কাজে গিয়ে এক তৃণমূল নেতার হাতে প্রহৃত হন কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক। পরে কলকাতা পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নেতাকে গ্রেফতার করে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। সেই ঘটনার পরেই পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয় বোরো-১৪-র কমিটির। তার পরেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার পর সমীক্ষার কাজে যাওয়া নিয়ে খানিকটা শঙ্কিত পুরকর্মীরা।