প্রতীকী ছবি
কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনায় এ বার সাসপেন্ড করা হল সেখানকার এক ইনস্পেক্টরকে। লালবাজার জানিয়েছে, দিন দুয়েক আগে ওই অফিসারকে সাসপেন্ড করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় আগেই এক জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং চার কনস্টেবল-সহ পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
পুলিশকর্মীদের করোনা সংক্রমণ নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ২৯ মে রাতে সল্টলেকের সশস্ত্র পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের দফতরে মাস্ক ও কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে বিক্ষোভ দেখান সেখানকার পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, আলো নিভিয়ে এবং সদর দরজা বন্ধ করে ভাঙচুর চলে। সেখানকার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার-সহ দু’জনকে আটকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বিধাননগর উত্তর থানায় পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। সাসপেন্ড পুলিশকর্মীরা বর্তমানে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের প্রয়োজনে ডেকে পাঠানো হতে পারে।
চলতি সপ্তাহে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সশস্ত্র পুলিশের ব্যাটেলিয়নের ডেপুটি কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। নিচুতলার কর্মীদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ, পুলিশকর্মীদের পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প ঠিক মতো চলছে কি না দেখতে বলেছেন তিনি। কর্মীদের ছুটি ও করোনা পরীক্ষার বিষয়গুলি দেখতে প্রতিটি ব্যাটেলিয়নের ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন সিপি। সেই সঙ্গে ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক এবং মেস পরিদর্শন করে প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন কমিশনার। সৈনিক সম্মেলন থেকে উঠে আসা নিচুতলার কর্মীদের অভিযোগ মেটাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে সেখানে।