টালিগঞ্জ থানায় হামলার ঘটনায় এখনও অবধি গ্রেফতার ৬ জন। ফাইল চিত্র।
টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিশ পেটানোর ঘটনায় ধৃত পাঁচ যুবককে ২৭ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় ধৃতদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরী ওই নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম আকাশ বসু, রণজয় হালদার, অক্ষয় রঞ্জন, ছোটকা দলুই এবং দীপক অধিকারী। প্রথম তিন জনকে ১৩ অগস্ট এবং পরের দু’জনকে ১২ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়। সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল বলেন, ‘‘ঘটনায় ধৃত দুই মহিলা অভিযুক্ত পুতুল নস্কর ও প্রতিমা দাসকে শনিবার জামিন দেন বিচারক। তাঁদের ১৩ অগস্ট দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছিল।’’ সরকারি কৌঁসুলি জানান, এ দিন ধৃত পাঁচ জনকে পুলিশ হেফাজত থেকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল।
ধৃতদের জামিনের আবেদন জানান তাঁদের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, অভিযুক্তদের জেরা করে নতুন কোনও তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসার। তাঁদের কাছ থেকে কোনও কিছু উদ্ধারও হয়নি। আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি কৌঁসুলি জানান, ধৃত পাঁচ জনই থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আইনের রক্ষকদের এ ভাবে মারধর করা বিরল ঘটনা। অভিযুক্ত পুতুলের বোনপো রণজয়ের বিরুদ্ধে নেশা করে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে তাঁকে থানা থেকে ছাড়াতে আসেন উত্তেজিত কয়েক জন। বাকি চার ধৃত ওই দলেই ছিলেন।
টালিগঞ্জ থানার ভিতরে ঢুকে পুলিশ পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্তেরা রাজ্যের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। চেতলার ১৭ নম্বর বস্তির স্থানীয় তৃণমূলকর্মী পুতুল ও তাঁর সঙ্গীরাই থানায় চড়াও হন বলে অভিযোগ। রণজয়কে থানা থেকে ছাড়াতে বস্তির ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে পুতুল ও প্রতিমা হামলা করেছিলেন বলে থানার একটি সূত্রের দাবি।
সরকারি কৌঁসুলি ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে মঙ্গলবার আদালতে জানান, অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা
করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত। তাঁরা কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, অভিযুক্তেরা তা জানেন। তাঁদের হদিস পেতেই ওই পাঁচ ধৃতকে আরও জেরা করতে হবে। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে পাঁচ অভিযুক্তকে ওই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।