প্রতীকী ছবি।
বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর উপরে ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার ত্রিপুরা রায় লেনে। পুলিশ জানিয়েছে, তাপস পাল নামে ওই যুবক স্ত্রী শ্রীলেখা পালের গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই আবাসন এবং এলাকার লোকজন তাপসকে ধরে এনে রাস্তায় ফেলে পেটান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা সঙ্কটজনক অবস্থায় ওই যুবক ও তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাপসকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে শ্রীলেখা স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মারধর ও অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাপসকে গ্রেফতারও করে। সেই সময়ে কয়েক দিন জেল হেফাজতেও ছিল সে। এরই মধ্যে শ্রীলেখা বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা চলাকালীন লকডাউনের মধ্যেই ত্রিপুরা রায় লেনে মাসির ফ্ল্যাটে চলে এসেছিলেন শ্রীলেখা।
বুধবার রাতে হঠাৎই ওই ফ্ল্যাটে মত্ত অবস্থায় হাজির হয় তাপস। কলিং বেলের শব্দ শুনে দরজা খুলতেই তাপস শ্রীলেখার মুখ টিপে ধরে। এর পরে গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শ্রীলেখা রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। তাপস অবশ্য স্ত্রীকে জখম করেই শান্ত হয়নি। অভিযোগ, এর পরে ঘরে ঢুকে শ্রীলেখার মা, দিদিমা ও ভাইকেও বেধড়ক মারধর করে সে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা ছুটে আসছেন দেখে তাপস তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবেশীরা তাকে তাড়া করে রাস্তাতেই ধরে ফেলেন। শুরু হয় গণপ্রহার। মারধর খেয়ে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। পরে পুলিশ এসে তাকে ও শ্রীলেখাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ দিন হাসপাতালে শুয়ে শ্রীলেখা বলেন, ‘‘তাপস দীর্ঘদিন ধরেই আমার উপরে অত্যাচার করছে। কয়েক মাস আগে বধূ নির্যাতনের মামলায় জেলেও গিয়েছিল। তার পরেই আমি বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা করি। তাপস আমাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছিল।’’