কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উদ্ধার চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ওই ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। এ দিন মেডিক্যালের গ্রিন বিল্ডিংয়ের চারতলা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম মনোরঞ্জন বিশ্বাস (৪৮)। তাঁর বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়া থানা এলাকায়। পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, পেশায় শ্রমিক মনোরঞ্জন অসুস্থতার কারণে প্রায় এক বছর ধরে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে। দুই ছেলেই উত্তরপ্রদেশে কাজ করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মনোরঞ্জনের শিরদাঁড়ায় যক্ষ্মা ধরা পড়েছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর কোমরের কাছে মেরুদণ্ডের অস্ত্রোপচার হয়। তার পর থেকে তিনি ভালই ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত তিনটে নাগাদ এক জন নার্স মনোরঞ্জনকে ইঞ্জেকশন দিয়ে যান। ভোর চারটের সময়ে ওই নার্স দেখেন, মনোরঞ্জন শুয়ে আছেন। ৬টা নাগাদ তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলে খবর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মনোরঞ্জনের পাশের কয়েকটি শয্যা ফাঁকা ছিল। কর্তৃপক্ষের অনুমান, নিজের শয্যায় উঠে ওড়না দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়েন ওই রোগী।
সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। এ দিনই মনোরঞ্জনের দেহের ময়না তদন্ত হয়েছে।
কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর কী ভাবে এমন মৃত্যু হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের জন্য ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রধান বিশ্বজিৎ সুকুলের নেতৃত্বে একটি দল তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুপারের কাছে তারা রিপোর্ট দিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।