Calcutta Medical College Hospital

অনড় দু’পক্ষই, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ গেলেন স্বাস্থ্যভবনে, কাটল না জট

অনড় আন্দোলনরত পড়ুয়া এবং স্বাস্থ্য ভবন, দু’পক্ষই। বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে অনশনে বসেন তাঁদের অভিভাবকরাও। সকাল ৯টা থেকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেন আট জন অভিভাবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:২০
Share:

পড়ুয়ারা আন্দোলনে অনড়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে জট কাটল না। — ফাইল ছবি।

পড়ুয়ারা আগের অবস্থানে অনড়— অনশন-আন্দোলনের পথ থেকে সরবেন না। স্বাস্থ্য ভবনও অনড়— পড়ুয়াদের আগে অনশন থেকে সরে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে দেখা করলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। তার পরেও জট কাটল না।

Advertisement

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, অনশনের ফলে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও অধরা সমাধান। তিনি চান, পড়ুয়ারা আলোচনার টেবিলে আসুক। অন্য দিকে স্বাস্থ্য ভবনের মত, প্রতিবাদ করতেই পারেন পড়ুয়ারা। কিন্তু অনশন তুলে নিন। অনশন তুলে তাঁরা আলোচনা করুক, এটাই চায় স্বাস্থ্যভবন।

বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে অনশনে বসেন তাঁদের অভিভাবকরাও। পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেন আট জন অভিভাবক। তাঁরা জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন যে দাবি তুলেছেন, তার সঙ্গে তাঁরা একমত। সন্তানদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতেই তাঁরা সেখানে এসেছেন।

Advertisement

অন্য দিকে, একটানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারাও। বৃহস্পতিবার তাঁদের অনশন সাত দিনে পড়েছে। টানা ১৬৮ ঘণ্টা অনশন করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একাধিক পড়ুয়া। প্রথমে পাঁচ জন পড়ুয়া অনশনে বসেছিলেন। পরে আরও দু’ জন পড়ুয়া অনশনে বসেন। পরে এক পড়ুয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়। এখন হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডে ওই পড়ুয়ার চিকিৎসা চলছে। আপাতত ছ’জন পড়ুয়া অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে সোমবার দেখা করতে এসেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সেখানে গিয়েছেন। পড়ুয়াদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। ছাত্র নির্বাচন নিশ্চিত ভাবে হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবারও স্বাস্থ্য ভবন সেই অবস্থানেই রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সেখানে গেলেও রফাসূত্র অধরাই থেকে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement