পুরভোট পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় অসন্তোষ রাজ্যপালের। ফাইল চিত্র।
রবিবার শেষ হওয়া ১০৮ পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে সোমবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। আর সোমবার সদ্য সমাপ্ত পুরভোট নিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে বেশ কয়েকটি জায়গায় পুনর্নির্বাচন চেয়ে বসলেন স্বয়ং রাজ্যপাল।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টেয় রাজভবনে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেখানে ভোট পরিচালনা নিয়ে রাজ্যপাল তাঁকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন বলে খবর। সূত্রের খবর, কমিশনারের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান, কেন একাধিক কেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থীদের আক্রান্ত হতে হল, কেন এত ইভিএম ভাঙচুরের ছবি দেখা গেল, কেন সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলেন না। এ-ও জানা যাচ্ছে, পুরভোটে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও কমিশনারের কাছে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল।
এর পর পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে যাবতীয় রিপোর্ট চান রাজ্যপাল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এর পর যে যে জায়গায় ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে সেখানে পুনর্নির্বাচন চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, কমিশনার জানান, এ ব্যাপারে তিনি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। জেলাশাসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। পরে কমিশনের তরফে জানানো হয়, অনেকগুলো ইভিএম আংশিক ভেঙে গেলেও তা থেকে তথ্য বিনষ্ট হয়ে যায়নি। পাশাপাশি, জেলাশাসকরা জানিয়েছেন, ভোট গণনার সময় কোনও সমস্যা হবে না। এই কারণে সংশ্লিষ্ট বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে না। দুটি বুথে আবার ভোট হবে। তবে স্বয়ং রাজ্যপালের এই পুনর্নির্বাচনের দাবিকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এ ছাড়া হাওড়ার পুরনিগমের কেন ভোট হল না, তা নিয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে প্রশ্ন করেন রাজ্যপাল। এ নিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইটও করেছেন ধনখড়।
টুইটে তিনি লেখেন, ‘নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় তা নিশ্চিত করতে কমিশনকে সমস্ত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হাওড়া পুরসভার নির্বাচন না করা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের ব্যর্থতা।’