প্রতীকী চিত্র।
তিলজলায় যুবকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মৃতের বান্ধবীকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম শালিনী চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকালে তিলজলা রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে ইয়াসির ইকবাল নামে একুশ বছরের এক যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পার্ক সার্কাসের বেকবাগানের বাসিন্দা ইয়াসির গত ২৮ মে থেকে তিলজলা রোডের ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সঙ্গে তাঁর বান্ধবী শালিনীও থাকতেন। ইয়াসিরের পরিবারের তরফে ওই রাতেই বান্ধবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে শালিনীকে গ্রেফতার করা হয়। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরেই শালিনীকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। শালিনী পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ছ’টা নাগাদ পাশের ঘরে ইয়াসিরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। এর পরে দেহটি তিনিই নীচে নামান। কিন্তু পুলিশ মৃত যুবকের মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে জানতে পারে, ওই দিনই সকাল সাতটায় ইয়াসির তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
মৃতের কাকা মহম্মদ এহসানের অভিযোগ, ‘‘ইশাক নামে শালিনীর প্রাক্তন এক বন্ধু দিন তিনেক ধরে ইয়াসিরকে হুমকি দিচ্ছিল। আমরা পুলিশকে সে বিষয়টি জানিয়ে তদন্ত করতে বলেছি। আমাদের দাবি, ভাইপো কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ ইশাক নামে ওই তরুণের খোঁজ শুরু করেছে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, ঘটনার দিন ভোরে ইয়াসিরের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। তার পরেই ইয়াসির পাশের ঘরে চলে যান। পুলিশ জানিয়েছে, এন্টালির বাসিন্দা শালিনীর সঙ্গে মাস কয়েক আগে হোয়াটসঅ্যাপে ইয়াসিরের আলাপ হয়। গত মাস থেকে তিলজলা রোডের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন তিনি। ইয়াসিরের ভাই আসাদ ইকবালের অভিযোগ, ‘‘দাদাকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। ওই মহিলার জন্য ভাই বাড়ি ছেড়ে ভাড়া থাকত। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক।’’