ফাইল চিত্র।
নিজেকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি এবং সিবিআই কৌঁসুলি বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার জাল পাতা সনাতন রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে শুক্রবার আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা দিল গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। সেই চার্জশিটে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির মোট সাতটি ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে। চার্জশিটে সনাতন ছাড়াও নাম রয়েছে তার দুই সঙ্গীর। কঙ্কাবতী ঘোষ এবং অমরনাথ মাহাতো নামে ওই দু’জনই এই মুহূর্তে পলাতক বলে চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ৬ জুলাই সিঁথি থেকে সনাতনকে গ্রেফতার করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। গড়িয়াহাট এলাকার একটি বাড়ি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের সূত্রেই ধরা পড়ে সে। তদন্তে জানা যায়, একাধিক ভুয়ো পরিচয়কে হাতিয়ার করে নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরত সনাতন। এমনকি, কূটনীতিক বলে পরিচয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনেও ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিল সে। ২০০৯ সালে দমদম থেকে সনাতন ভোটে লড়েছিল লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) হয়ে।
প্রায় তিনশো পাতার চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য হাই কোর্টের ভুয়ো ‘অর্ডার কপি’ ব্যবহার করত সনাতন। সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল বলেন, ‘‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। ধৃত প্রভাবশালী বলে তদন্তে উঠে এসেছে। সেই কারণে হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর আবেদন জানানো হচ্ছে।’’ বিচারক সনাতনকে হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রের খবর।