ভিকি হালদারের এখনও নাগাল পেল না কলকাতা পুলিশ।
গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুন-কাণ্ডে মূল অভিযু্ক্ত ভিকি হালদারের এখনও নাগাল পেল না কলকাতা পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ ছিল, কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের হত্যায় অভিযুক্ত ভিকি সুন্দরবনেরই কোনও প্রান্তে হয়তো লুকিয়ে রয়েছেন। সেই অনুযায়ী, রবিবার তল্লাশিও চালানো হয়। কিন্তু সেখানেও হদিশ পাওয়া গেল না তাঁকে।
ধৃত ভিকির সঙ্গী বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি জেরায় আগেই স্বীকার করেছেন, খুনের ঘটনায় মূল চক্রী মিঠু হালদারের পরামর্শে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পাথরপ্রতিমার একটি জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন। এর পরই তদন্ত করে পুলিশের অনুমান হয়, খুনের ঠিক পরে ভিকি ও তাঁর এক সঙ্গী ডায়মন্ড হারবারের গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
হন্যে হয়ে ভিকির খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে কোনও মোবাইল ফোনও ব্যবহার করছেন না ভিকি। তাঁর হদিশ পেতে পরিচিতদের একটি তালিকা তৈরি করে সেই সব জায়গায় খোঁজ চালাতে শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, আলাদা ভাবে জেরা করায় বাপি আর জাহিরের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। যত ক্ষণ না ভিকি ধরা পড়ছেন, তত ক্ষণ ওই জট কাটবে না। পুলিশের অনুমান, দীর্ঘ দিন পালিয়ে বেড়ানোর জন্য ভিকির হাতে যে পরিমাণ টাকা থাকা দরকার, তা নেই। হাতের টাকা শেষ হলেই কারও না কারও দ্বারস্থ হতেই হবে তাঁকে। সেই দিকেই নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের।