বিক্ষোভ: ভাঙচুরের অভিযোগে চার ছাত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে অবস্থান। মঙ্গলবার, হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাওড়ার বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে এক সপ্তাহ আগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ছাত্রীরা। অভিযোগ, বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছিল কলেজের জিনিসপত্র। সেই ঘটনায় কলেজে গোলমাল বাধানো, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে বাণিজ্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চার ছাত্রীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর পরে ওই বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসতে পারবেন। সেই সঙ্গেই তাঁরা জানান, এই সিদ্ধান্তের কোনও নড়চড় হবে না।
মঙ্গলবার কলেজ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই কলেজের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বহিষ্কারের নির্দেশ এবং অতিরিক্ত ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
ওই কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার কলেজে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের মধ্যে। কলেজের অধ্যক্ষ, পরিচালন কমিটি এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা দফায় দফায় বৈঠক করেন। শেষে চার জন ছাত্রীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ দিন কলেজ খোলার পরেই এসএফআই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন হাওড়া জেলা এসএফআইয়ের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পিয়াল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, ওই চার ছাত্রীর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে হবে। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ওই চার জনকে অবিলম্বে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।’’ ছাত্রীদের পরীক্ষায় বসতে না দিলে তাঁরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে এ দিন জানান এসএফআই নেতৃত্ব।
এই প্রসঙ্গে কলেজের পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘ঘটনার দিন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে কিছু বহিরাগত লোকজন কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। কলেজের শান্তি বিঘ্নিত করতে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ন’জন ছাত্রী সেখানে অশান্তি পাকিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের অপরাধ লঘু হওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি চার জনের অপরাধ গুরুতর। তাই তাঁদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালন কমিটির মধ্যে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কলেজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ফি-ই নেওয়া হবে। কমানো হবে না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।