ফাইল চিত্র
নিউ টাউনের আবাসনে গুলি-কাণ্ডের সঙ্গে ভাঙড় থেকে আটক হওয়া চার পঞ্জাবি যুবকের কোনও যোগসূত্র না-পেয়ে তাঁদের ছেড়ে দিল পুলিশ। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার চিনাপুকুর ও বসিরহাটের মাটিয়া এলাকা থেকে চামকউর সিংহ ওরফে দাউদ, আমনদীপ সিংহ, রেশমজিৎ সিংহ ও জ্যাক সিংহ শর্মা নামে ওই চার জনকে আটক করা হয়। পরে ভাঙড় থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসটিএফ ও বারুইপুর জেলা পুলিশের অফিসারেরা। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনার সঙ্গে চার জনের যোগ না পাওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের মোবাইলের কল-তালিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
নিউ টাউনের ওই ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময়ে সূত্র মারফত খবর আসে, মূল দুই অভিযুক্ত জয়পাল সিংহ ভুল্লার এবং যশপ্রীত খারারের সঙ্গে এই চার যুবকের যোগসাজশ রয়েছে। সেই মতো চার জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আদতে পঞ্জাবের ভাতিন্ডার বাসিন্দা চামকউর ওরফে দাউদ প্রায় ৮-৯ বছর আগে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার চিনাপুকুর গ্রামে আসেন। এলাকায় পশু চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত তিনি। রাবিয়া বিবি নামে স্থানীয় এক মহিলাকে বিয়েও করেন চামকউর। সম্প্রতি পঞ্জাবের ভাতিন্ডা থেকে চামকউরের বাড়িতে আসেন তাঁর প্রথম পক্ষের ছেলে জ্যাক এবং দুই আত্মীয়, আমনদীপ ও রেশমজিৎ। নিউ টাউন-কাণ্ডের পরপরই এলাকায় ওই তিন অপরিচিত মুখকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে চিনাপুকুর থেকে জ্যাক, আমনদীপ ও রেশমজিৎকে আটক করে পুলিশ। অন্য দিকে, বসিরহাটের মাটিয়ার একটি যৌনপল্লিতে সন্ধান মেলে চামকউরের। তবে মঙ্গলবার বিকেলে চিনাপুকুর গ্রামে দাউদের বাড়িতে গেলে তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেনি।