প্রতীকী ছবি
পার্কে অথবা খোলা জায়গায় পশুপাখি রাখা নিয়ে আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য বন দফতর। এ বার পাচার হওয়া সিংহ শাবক-সহ বেশ কিছু প্রাণী উদ্ধার হওয়ার পরে নজরদারিতে আরও জোর দিচ্ছে তারা। বন্যপ্রাণী তো বটেই, শহরের বিভিন্ন পার্কে পশুপাখি রাখা নিয়েও নিয়মকানুন আরও কঠোর হচ্ছে।
বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, পার্ক-সহ বিভিন্ন খোলা জায়গায় পশুপাখি রাখা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পুরসভা এবং কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে কড়া হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দফতর সূত্রের খবর, কলকাতা শহরে পুরসভা ছাড়াও কেএমডিএ বহু পার্কের দেখভাল করে। এ ছাড়া, কিছু কিছু বেসরকারি সংস্থাও সৌন্দর্যায়নের জন্য পার্ক তৈরি করে সেখানে পাখি-সহ ছোট ছোট প্রাণীদের খাঁচায় রাখে। অনেক সময়েই প্রশ্ন ওঠে, সেগুলি কি আইন মেনে রাখা হচ্ছে? বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের তালিকাভুক্ত প্রাণীও সেখানে রাখা হয়েছে। এই কারণে পরবর্তীকালে অনেক সংস্থাকেই পাখি বা প্রাণী রাখার ক্ষেত্রে অনুমতি দেয়নি বন দফতর। যদিও বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, কয়েকটি পাখি বা প্রাণী, যেগুলি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়ে না, সেগুলি রাখা যেতেই পারে।
সে ক্ষেত্রে ওই সমস্ত প্রাণীর বাসস্থান থেকে খাদ্যাভ্যাস— সব দিকেই নজর দিতে হবে, যাতে তাদের কোনও রকম কষ্ট না হয়। বন দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বদ্রিকা বা কাকাতুয়ার মতো পাখি রাখা যেতেই পারে। খরগোশ বা গিনিপিগও সৌন্দর্যায়নের জন্য রাখলে তা আইন-বিরুদ্ধ নয়।
কেএমডিএ-র আধিকারিক সুধীন নন্দী বলেন, ‘‘রবীন্দ্র সরোবরে হরিণ এবং অন্যান্য পশুপাখি রাখার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী হয়েছিলাম। কিন্তু বন দফতরের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় রাখা যায়নি।’’ তাঁর বক্তব্য, শহরে কেএমডিএ-র কোনও পার্কেই কোনও প্রাণী রাখা হচ্ছে না। তবে অন্য কোনও সংস্থা যদি রাখতে চায়, তা হলে বন দফতরের অনুমতি সাপেক্ষেই তাদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।
কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘পুরসভার কোনও পার্কেই পাখি বা অন্য কোনও প্রাণী রাখা হয় না। কেউ যদি পুরসভার উদ্যানে পুরসভার অনুমতি ছাড়া রাখে, তা হলে তা বেআইনি।’’