প্রতীকী ছবি
উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা মিটল কোনও সমস্যা ছাড়াই। পরীক্ষা শুরুর আগে বা পরীক্ষা চলাকালীন শহরে কোথাও যানজট হয়নি বলেই পুলিশের দাবি। টালা সেতু সংলগ্ন এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণে ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজন হলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণেশ্বরের আলমবাজার থেকে ঠনঠনিয়া এলাকার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে (মেন) পরীক্ষা দিতে এসে রোহিত মল্লিক নামে এক কিশোর দেখে, সে অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছে। তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্তব্যরত, উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবল সুব্রত ধর। সুব্রতবাবু জানান, রোহিতকে পরীক্ষা দিতে বসিয়ে তিনি নিজেই চলে যান দক্ষিণেশ্বরে তার বাড়িতে। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসেন সুব্রতবাবু।
একই ভাবে ক্যানাল ওয়েস্ট রোডের বাণীপীঠ গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে মুসমিদা খাতুন নামে এক পরীক্ষার্থী দেখে, সে-ও অ্যাডমিট কার্ড আনতে ভুলে গিয়েছে। মানিকতলা থানার সাব ইনস্পেক্টর কেদারচন্দ্র দেবনাথ ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে বসিয়ে তার বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড আনানোর ব্যবস্থা করেন। উল্টোডাঙার সারদাপ্রসাদ স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ঋতজা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিল। স্থানীয় ট্র্যাফিক গার্ডে কর্তব্যরত সার্জেন্ট দেবাশিস সেন তার অ্যাডমিট কার্ড আনানোর ব্যবস্থা করেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীদের কাছে মোবাইল আছে কি না, সেই তল্লাশির পাশাপাশি তাদের হাতঘড়িও পরীক্ষা করা হচ্ছিল। ছেলেদের পরীক্ষা কেন্দ্রে এক জন করে অফিসার ও দু’জন করে কনস্টেবল ছিলেন। মেয়েদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ছিলেন এক জন করে অফিসার এবং দু’জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা কনস্টেবল।