প্রতীকী ছবি।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা নবনীতা দেবসেনের মতোই বাঙালির প্রিয় সাহিত্যিকদের অনেকের কাছেই এমন আবদার শুনেছেন কলকাতা বইমেলার উদ্যোক্তারা। অবশেষে তাঁদের সেই ইচ্ছেটুকু যখন আংশিক ভাবে রাখা সম্ভব হচ্ছে, তাঁরা প্রায় কেউই সশরীরে নেই। অতিমারির পটভূমিতেই প্রথম বার বইমেলার স্বাদ পাচ্ছে দক্ষিণ কলকাতা। আগামী রবিবার ২১ তারিখ, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড-এর ‘একুশে বই উৎসব’-এর সূত্রে এই মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মেলার মাঠটি যেখানে নির্দিষ্ট হয়েছে সেই তালতলার মাঠ হল, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের দিকে যোধপুর পার্কে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা শহরের নামী শপিং মলের কাছাকাছি এমন বইমেলা, এই শহরের অনেকের জন্যই তা আনন্দের। প্রবীণ সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ও থাকেন মেলা প্রাঙ্গণের কাছাকাছিই। তিনি এই বইমেলার প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। গিল্ডকর্তা সুধাংশুশেখর দে এবং ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাতে দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা-দিবসের অনুষ্ঠানের পরে আসতে পারেন, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বছর ঢাকার একুশে মেলা-র সময় পিছিয়েছে করোনার জন্য। ঠিক যে কারণে এ বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা হবে জুলাইয়ে।
দক্ষিণ কলকাতার প্রথম বইমেলা প্রসঙ্গে শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, ‘‘৬০-৬৫টি স্টল নিয়ে ছোট করে বইমেলা হলেও এর মাধ্যমে খানিকটা আসলের স্বাদ মিলবে।’’ কয়েক দিন আগেই আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার হৃষিকেশ পার্কে একটি ছোট বইমেলা হয়েছে। বাংলা-বাঙালিকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান, দুই বাংলার বই সাজিয়ে মেলার পরিকল্পনাও হয়েছে।