ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
অল্প বৃষ্টিতে বেহালায় জল দাঁড়িয়ে যায় প্রায়ই। এ নিয়ে অতীতে একাধিক বার ‘কলকাতা
এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’ (কেইআইআইপি)-এর ইঞ্জিনিয়ারদের এক হাত নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফের সেখানে জল জমার অভিযোগ পেয়ে কেইআইআইপি-র কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ক্ষুব্ধ মেয়র বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারেরা যদি ময়দানে নেমে কাজ না করেন, তা হলে সেই ইঞ্জিনিয়ার রেখে লাভ কী?’’
শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ফোনে অভিযোগ করেন, ব্রহ্মপুরে প্রগতি পার্ক এলাকায় তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কয়েক দিন ধরেই জল জমে রয়েছে। ফলে এলাকায় মশার প্রকোপ বাড়ছে। গত কয়েক দিনে তেমন ভারী বৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও এলাকায় জল জমে রয়েছে শুনে মেয়র কেইআইআইপি-র এক আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, ‘‘ঠিকাদারদের দিয়ে কেন নিয়মিত পাম্প করে জমা জল সরানো হচ্ছে না?’’ বৃষ্টি হলে কেইআইআইপি-র পাম্প প্রতিটি এলাকায় চালু রাখতে হবে এবং কোথাও জল
জমতে দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেন তিনি। এ বিষয়ে প্রতিটি বরোর এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের সতর্ক হতেও নির্দেশ দেন পুর কর্তৃপক্ষ।
এ দিন কেইআইআইপি-র ডিজির বদলে ওই অনুষ্ঠানে অন্য আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। মেয়র তাঁর কাছে জানতে চান, ‘‘আপনারা কেইআইআইপি ভবনে বসে কাজ করেন? না কি ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখেন?’’ জবাবে উপস্থিত আধিকারিক জানান, পুরো কাজটাই পরামর্শদাতা করে, তাই তাঁদের যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এর পরেই ক্ষুব্ধ মেয়র পুর কমিশনারকে বলেন, ‘‘কেইআইআইপি-র যাবতীয় কাজ যখন পরামশর্দাতারাই করেন, তখন ইঞ্জিনিয়ারদের রেখে লাভ কী? কেইআইআইপি-র ইঞ্জিনিয়ারদের অন্যত্র বদলি করে দিন। কাজের গাফিলতি হলে আমরা সরাসরি পরামর্শদাতাদের বলব।’’ এর পরেই মেয়র উপস্থিত ওই আধিকারিককে ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে আপনি কেন এলেন? পরামর্শদাতাকে পাঠাবেন। ইঞ্জিনিয়ারেরা ময়দানে নেমে কাজ না করলে সেই ইঞ্জিনিয়ারকে রেখে লাভ কী?’’