শহরের বেশির ভাগ গণ শৌচাগারই অপরিচ্ছন্ন বলে অভিযোগ। ফাইল চিত্র
কলকাতা শহরে গণ শৌচাগারের পরিবেশ নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বুধবার পুর ভবনে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে গণ শৌচাগারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দু’নম্বর ওয়ার্ডের দমদম রোডের বাসিন্দা রুমা দাস। মেয়রের কাছে তাঁর অভিযোগ ছিল, এলাকায় যে গণ শৌচাগার আছে, তা এতটাই নোংরা হয়ে থাকে যে, ব্যবহারের অযোগ্য। তবু অনেককেই বাধ্য হয়ে সেখানে যেতে হয়। ওই অভিযোগ যে ভুল নয়, তা মেনে নিয়ে মেয়র ফিরহাদ বলেন, ‘‘আপনি ঠিকই বলছেন।’’ এর পরেই পুর কমিশনার-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসারদের তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের আগেও বলেছি, যে সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গণ শৌচাগার চালাচ্ছে, তাদের ওই জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বলুন।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগেও গণ শৌচাগার পরিচ্ছন্ন রাখা নিয়ে অফিসারদের সতর্ক করেছিলেন তিনি। তার পরেও ফের একই অভিযোগ শোনায় বিরক্ত মেয়র। পুর কমিশনারকেও এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেন তিনি। পরে টেলিফোনেই রুমাদেবীকে জানান, খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিনও ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ মেয়রের কানে তুলেছেন শহরের বাসিন্দারা। বাগবাজারের মহাদেব সরকার জানান, পুরসভার রাস্তা দখল করে ঘিরে দিচ্ছেন প্রোমোটার। মেয়র তাঁকে জানান, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের কর্মীরা সেখানে যাবেন। রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তোলার প্রমাণ মিললে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের নির্মাণের নকশা আটকে দেওয়ার নির্দেশও দেন অফিসারদের। ভূপেন বসু অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা সুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পাশের বাড়িতে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। তাঁরও বক্তব্য, ‘‘কিছু একটা করুন।’’ মেয়র আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘এ সপ্তাহেই পুরসভার বিল্ডিং দফতরের লোক আপনাদের কাছে যাবে।’’ বেলেঘাটার এক বাসিন্দা মেয়রকে বলেন, ‘‘আমার তিন কাঠা জমি রয়েছে। আমি আপনার সঙ্গে বাড়ি করতে চাই।’’ হতবাক মেয়র বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বাড়ি মানে?’’ এ বার ওই ভদ্রলোক বলেন, ‘‘বলতে চাইছি, বাড়ি তৈরি করতে আপনার সহযোগিতা চাই।’’ মেয়রের আশ্বাস, ‘‘দরখাস্ত করুন। কোনও অসুবিধা হবে না।’’