তৎপর: খাবারের দোকানের আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। সোমবার, হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
বন্ধ থাকা একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে আগুন লেগে সোমবার দুপুরে আতঙ্ক ছড়াল হাওড়ার জি টি রোডের ধারে সন্ধ্যাবাজারে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের আরও চারটি দোকান। পাশে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কালো ধোঁয়া ঢুকে পড়ায় চিকিৎসক ও রোগীদের বার করে আনতে হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হননি। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। এর জেরে কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় জি টি রোড। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যাবাজারে একটি পাঁচতলা বাড়ির নীচে রয়েছে ফাস্ট ফুডের দোকানটি। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দোকানের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয় লোকজন দমকলে খবর দেন। প্রথমে তিনটি ইঞ্জিন আসে। পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন এসে হাত লাগায়। বন্ধ দোকানের শাটার ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা।
তত ক্ষণে আশপাশের চারটি দোকানে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। কালো ধোঁয়া ঢুকে পড়ে পাশের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে তখন প্রায় ৩০ জন রোগী ছিলেন। ছিলেন ছ’-সাত জন চিকিৎসক এবং ৩০ জন কর্মী। সকলকে নিরাপদে বার করে আনা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অজয় মহারানা বলেন, ‘‘প্রথমে চার দিক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। শাটারের নীচ দিয়ে দোকানে অল্প অল্প আগুন দেখা যাচ্ছিল। শাটার ভাঙার পরে তা তীব্র আকার নেয়।’’ পিন্টু শর্মা নামে স্থানীয় এক দোকান-মালিক বলেন, ‘‘আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে আসি। নিজের দোকানের শাটার খুলে দেখি, ভিতরে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। আর ঢুকতে সাহস পাইনি।’’
শিবপুর দমকলকেন্দ্রের ফায়ার ম্যানেজার শুভাশিস নাথ বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা এসে শাটার ভেঙে কাজ শুরু করি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’