লড়াই: সল্টলেকে বিএসএনএলের অফিসে আগুন নেভানোর চেষ্টায় দমকলকর্মীরা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হল বিএসএনএলের একটি অফিস। সোমবার রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের অনিন্দিতা মোড়ে। খবর পেয়ে পৌঁছয় দমকলের ৯টি ইঞ্জিন। আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন আয়ত্তে আনতে গভীর রাত পর্যন্ত লড়াই চালান দমকলকর্মীরা। এই বিপত্তির জেরে পূর্বাঞ্চলে বিএসএনএলের প্রি-পেড মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর, পরিষেবা স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন কর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সল্টলেকের অনিন্দিতা মোড়ের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের দু’টি অফিস আছে। তার মধ্যে একটি বিএসএনএলের। ওই অফিসের আশপাশে রয়েছে আবাসন এবং বসতবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় চার দিক। বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ করেও স্বস্তি মেলেনি। পোড়া গন্ধে তাঁদের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
আগুনের উৎসে পৌঁছতে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকে। রাত ৯টা পর্যন্তও তাঁরা উৎসে পৌঁছতে পারেননি বলে খবর। শেষে বাইরে থেকে কাচ ভেঙে ধোঁয়া বার করা হয়। তীব্র ধোঁয়া এবং পোড়া গন্ধে কয়েক জন দমকলকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে।
খবর পেয়ে পৌঁছন বিধাননগর পুরসভার দুই কাউন্সিলর নীলাঞ্জনা মান্না এবং মিনু চক্রবর্তী।
বিএসএনএল সূত্রের খবর, যেখানে আগুন লেগেছিল, সেখানে পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিলিংয়ের কাজ হয়। এ দিনের দুর্ঘটনায় ওড়িশা ছাড়া গোটা পূর্বাঞ্চলের প্রি-পেড মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। রাতের দিকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বাকি রাজ্যগুলিতে ধাপে ধাপে তা স্বাভাবিক হয় বলে দাবি কর্তাদের। সংস্থা সূত্রের খবর, ক্যালকাটা টেলিফোন্সের চিফ জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ পাল এই মুহূর্তে অফিসের কাজে দিল্লিতে। সেখান থেকে পুরো ঘটনা তদারকি করছেন তিনি। খবর পাওয়া মাত্র সল্টলেকের ওই অফিসে পৌঁছে গিয়েছেন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা।
দমকল জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে বাসিন্দাদের একাংশের অনুমান, অফিসের ভিতরে কোনও যন্ত্রাংশ ফেটে এমন ঘটে থাকতে পারে। দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। দমকল জানিয়েছে, ওই বাড়ির নকশা না মেলায় আগুনের উৎসে পৌঁছতে সমস্যা হয়েছিল। সে কথা মেনে নিয়েছেন মন্ত্রীও।