—ফাইল চিত্র।
রাইটস-কে দিয়ে টালা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছিল পূর্ত দফতর। তবে তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলাদা করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। আগামী সপ্তাহে সেই সমীক্ষার পরে টালা সেতুর ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা।
ইতিমধ্যেই টালা সেতুর স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখার জন্য সেতু-বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাজ্য। সব পরিকল্পনামাফিক চললে ৩ অক্টোবর তিনি ওই সেতু পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। রায়না কী পরামর্শ দেন, তার দিকেই এখন তাকিয়ে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। ভি কে রায়না আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক বৃহৎ পরিকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্ব সামলেছেন। ফলে তাঁর অভিজ্ঞতা টালা সেতুর ক্ষেত্রে লাভজনক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পূর্ত আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, সেতুর ‘গার্ডার’গুলি (সেতুর উপরিভাগে পরস্পর যুক্ত একাধিক ব্লক) সংযুক্ত রাখতে যে কেব্ল ব্যবহার করা হয় তার বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে আগের মতো আর ভার বহনে সক্ষম নয় টালা সেতু। দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেই কারণেই সেতুতে গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে চেয়েছিল রাইটস। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির গভীরতা বুঝে সেতু সংস্কার করা হবে, না কি তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন তৈরি করতে হবে, তা নিয়ে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। আধিকারিকদের একাংশ আরও জানাচ্ছেন, ভি কে রায়না তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারবেন, এই পর্যায়ে সেতুটি নিয়ে কী পদক্ষেপ করা উচিত। উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহারে সেতুর স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা ফের যাচাই করতে হবে কি না, সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হবে।
টালা সেতু নিয়ে সর্বশেষ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নতুন করেই হয়তো সেতু তৈরি করতে হবে। তবে তেমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হতে চাইছে রাজ্য।