কাজ চলছে রাস্তার। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে শুরু হয়েছে বেলঘরিয়া এক্সেপ্রেসওয়ের দু’ধারে সার্ভিস রোড তৈরির কাজ। এলাকাবাসীর মতে, এত দিন সার্ভিস রোড না থাকার কারণে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটত। স্থানীয়দের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার করতে হত। এই সার্ভিস রোড তৈরি হয়ে গেলে সেই বিপদ অনেকটাই কমবে। সেই সঙ্গে কমবে দুর্ঘটনার সংখ্যাও।
উত্তর দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, সার্ভিস রোড তৈরির কাজ যশোর রোডের এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেট থেকে খলিসাকোটা পর্যন্ত শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলে পরের অংশের কাজ শুরু হবে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দু’দিকে আপাতত দুই কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে কাজটা করা হচ্ছে। এই সার্ভিস রোড তৈরি হলে খলিসাকোটা, শক্তিগড়, উত্তর বাদরা, কেন্দ্রীয় বিহার-সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন।’’
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরে ওই রাস্তার দু’ধারে ক্রমেই জনবসতি ঘন হচ্ছে। রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি আবাসন হয়েছে। তারই একটির বাসিন্দা সমীরবরণ সাহা বলেন, ‘‘সন্ধ্যা থেকেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সারিবদ্ধ ভাবে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে আবাসন থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোতে গেলে খুব সমস্যায় পড়তে হত। এমন বহু সময় হয়েছে যে গাড়িই বার করতে পারলাম না। এ বার গাড়িগুলিকে আবাসন থেকে বেরিয়ে সরাসরি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে হবে না। সার্ভিস রোড ধরে সোজা এয়ারপোর্ট তিন নম্বর গেটের যশোর রোডে উঠে যাওয়া যাবে।’’ বাসিন্দাদের মতে, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি খুব দ্রুত চলে। সুতরাং আবাসন বা পাড়া থেকে গাড়ি নিয়ে সরাসরি ওই রাস্তায় ওঠা খুবই বিপজ্জনক। এ জন্য অনেক দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
এই সার্ভিস রোড হলে উপকৃত হবেন পথচারীরাও। কারণ এত দিন সার্ভিস রোড না থাকায় বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হেঁটে তিন নম্বর গেট পর্যন্ত যেতে হত স্থানীয়দের। যা যথেষ্ট ঝুঁকির। বাসিন্দাদের দাবি, কিছু জায়গায় কাজ আটকে রয়েছে। তা দ্রুত শেষ করতে পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। সুবোধবাবুর দাবি, ‘‘এখন যেখানে কাজ হচ্ছে তা কোথাও আটকায়নি। পর্যায়ক্রমে দ্রুতই কাজ শেষ হবে।’’