রবিবার বাজা কদমতলা ঘাটে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত হল দেব দীপাবলি অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
এ বার থেকে প্রতি বছরেই আয়োজিত হবে দেব দীপাবলি উৎসব। রবিবার বাজা কদমতলা ঘাটে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত হল দেব দীপাবলি। কলকাতায় এই প্রথম বার এই উৎসব আয়োজিত হল। যা নিয়ে বিরোধী দল বিজেপি শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে। উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে নাম না করে বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিলেন মেয়র। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এ বার থেকে প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করা হবে। এই উৎসবের সূচনা করার জন্য কলকাতা পুরসভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীই এই উৎসব উদ্বোধনের দায়িত্ব দেন মেয়রকে। সেই নির্দেশ মেনেই উৎসবের সূচনা করেন ফিরহাদ।
মেয়র বলেন, ‘‘আমি শুনলাম, বিরোধিরা বলছেন, হিন্দীভাষী ভোট পেতেই নাকি দেব দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু আমি বলব, আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। তাই ভোটের জন্য ভাগাভাগির রাজনীতি করতে হয় না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলকাতায় যেমন দেব দীপাবলি হচ্ছে, তেমনই রেড রোডে নমাজ পড়া হয়। কলকাতার দুর্গাপুজোও আমাদের। আবার কয়েক দিন পরে পার্ক স্ট্রিটে যে বড়দিনের উৎসব হবে, তাতে আমরা শামিল হব। এটাই বাংলার বৈচিত্র ও সংস্কৃতি। তাই আমি বলছি, এ বার থেকে প্রতি বছর দেব দীপাবলির আয়োজন হবে।’’
দেবদীপাবলিতে উপস্থিত রয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
অগণিত এলইডি আলোকে প্রদীপের আকারে জ্বালিয়ে সংশ্লিষ্ট ঘাটটিকে সাজিয়ে তোলা হয়। উৎসবে হাজির উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা প্রবীণ রাজনীতিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দেব দীপাবলি উৎসবে সামিল হয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘বারাণসীর গঙ্গার ঘাটে অনেক বছর ধরে গঙ্গা আরতি হয়ে আসছে। সেখানে দেব দীপাবলিও হয়। সেখানকার গঙ্গার ঘাটের সৌন্দর্যায়নের জন্য কেন্দ্র ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কারণ, সেখানকার সাংসদের নাম নরেন্দ্র দমোদরদাস মোদী।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘আর কলকাতার গঙ্গার ঘাট জুড়ে যে এলাকাগুলি রয়েছে, তাদের সাংসদের নাম মালা রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কলকাতার গঙ্গার সৌন্দর্যায়নের জন্য কেন্দ্র একটি টাকাও বরাদ্দ করে না।’’
কলকাতা পুরসভা এই দেব দীপাবলির আয়োজন করলেও, অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব ছিল দেবোত্তর জয় চণ্ডী ঠাকুরানী ট্রাস্টের হাতে। এই সংস্থাই বছরভর গঙ্গা আরতি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।