সেই নীলবাতির গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
আবার ভুয়ো সিআইডি অফিসার গ্রেফতার হুগলিতে। এ বার পোলবায় নীলবাতি আর সরকারি বোর্ড লাগানো গাড়িতে তোলাবাজি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিন জন। রবিবার রাতে ধৃতদের আজ চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ পোলবা থানার একটি গাড়ি টহল দিচ্ছিল দিল্লি রোডে। রাজহাট মোড়ের কাছে একটি পানশালার সামনে একটি সাদা রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। গাড়ির মাথায় নীল বাতি এবং চালকের সামনে রাজ্য সরকারের বোর্ড লাগানো ছিল। ওই গাড়িটি কালনা থেকে হারিট যাওয়ার সময় একটি ইটবোঝাই ট্র্যাক্টর আটকে দেয়। গাড়ি থেকে নেমে তিন জন ট্র্যাক্টরচালকের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, হুমকি দেওয়া হয়, ওই টাকা না দিলে জরিমানা হবে। মামলা দিয়ে থানায় ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। তার মধ্যেই পুলিশের গাড়ি পৌঁছে যাওয়ায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। গাড়ির চালক-সহ তিন জনকেই আটক করে পুলিশ।
ট্রাক্টরের চালকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পরে তিন জনকেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের কাছ থেকে একটি লোহার রড উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তরা চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের নাম কার্তিক অধিকারী, প্রীতম গায়েন এবং কুন্তল সাহা। এক জন রংমিস্ত্রির কাজ করেন। এক জন ওষুধ সরবরাহ করেন। আর এক জন গাড়ি চালান। আর অন্য সময়ে তাঁরাই সিআইডি সেজে ঘুরে বেড়ান। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি এবং সরকারি দফতরের বোর্ড লাগিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নীলবাতির গাড়িটি কার, কোন সরকারি দফতরে সেটি ভাড়া খাটে তার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘শনিবার রাতে পোলবা থানার পুলিশের একটি গাড়ি ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল। তখন তারা দেখতে পায় একটি সরকারি বোর্ড লাগানো নীলবাতির গাড়ি একটি গাড়িকে আটকে ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করতেই সত্যিটা বেরিয়ে আসে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়িটির বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’’