Kolkata Metro

Metro: স্টেশনে থামলেও খুলল না মেট্রোর দরজা, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

নির্ধারিত স্টেশনে মেট্রো থামল। নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পরে বেরিয়েও গেল। কিন্তু আটটি কামরার ২৪টি দরজার একটিও খুলল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২২ ০৬:৫৩
Share:

ফাইল ছবি

নির্ধারিত স্টেশনে মেট্রো থামল। নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পরে বেরিয়েও গেল। কিন্তু আটটি কামরার ২৪টি দরজার একটিও খুলল না। এর ফলে এক জন যাত্রীও ওই স্টেশনে ওঠানামা করতে পারলেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই পরিস্থিতির সাক্ষী থাকল উত্তর শহরতলির নোয়াপাড়া স্টেশন। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা মেট্রো থামিয়ে রেখে বরাহনগর স্টেশনে নাগাড়ে বিক্ষোভ দেখান। যার জেরে অনিয়মিত হয়ে পড়ে মেট্রোর পরিষেবা। কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে অন্তিম ট্রেন ছাড়তে প্রায় আধ ঘণ্টা বিলম্ব হয় বলেও অভিযোগ। মেট্রো সূত্রের খবর, কেন ওই স্টেশনে কামরার দরজা খোলেনি, জানতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরগামী একটি ট্রেন নোয়াপাড়া স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ওই ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামতে কয়েকশো যাত্রী প্রস্তুত ছিলেন বলেও দাবি। আর ওই মেট্রোয় ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন কিছু সংখ্যক যাত্রী। অভিযোগ, মেট্রো নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে থামার পরে যাত্রীরা দরজা খোলার অপেক্ষা করতে করতেই দেখেন, বেশ কিছু ক্ষণ স্টেশনে অপেক্ষার পরে সব যাত্রী নিয়ে ফের দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে চলতে শুরু করেছে ট্রেন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দেন।

কিছু সময় পরে ট্রেনটি বরাহনগর স্টেশনে পৌঁছলে সেখানে গিয়ে মেট্রোর কামরার দরজা খোলে। যাত্রীরা তখন ট্রেন থেকে নেমে আপ প্ল্যাটফর্মে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মেট্রো এবং চালকের কামরা আটকে রেখে বিক্ষোভের জেরে পরিষেবা সাময়িক ভাবে থমকে যায়। ব্যস্ত সময়ে বরাহনগরে ওই ট্রেনটির পিছনে দমদম ও দক্ষিণেশ্বরগামী একাধিক ট্রেন আটকে থাকে। ওই সময়ে দক্ষিণেশ্বর থেকেও কোনও ট্রেন ছাড়তে পারেনি। গোলমালের বার্তা স্টেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মেট্রোর কন্ট্রোলে পৌঁছয়।

Advertisement

বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের নির্ধারিত নোয়াপাড়া স্টেশনে নামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি দক্ষিণেশ্বর অভিমুখে রওনা হয়। সেখান থেকে ফের কবি সুভাষমুখী ট্রেনের লাইনে নিয়ে যাওয়া হয় মেট্রোটিকে। ওই ট্রেনেই নোয়াপাড়াগামী কয়েকশো যাত্রী ফেরেন। তাঁদের নোয়াপাড়া স্টেশনে নামানো হলে ফের যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রায় আধ ঘণ্টা বিলম্বে পরিষেবা অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

রাত ৮টার পরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সব মেট্রোই দেরিতে চলেছে। দক্ষিণেশ্বর ও কবি সুভাষ থেকে অন্তিম ট্রেন ছাড়তেও দেরি হয়। মেট্রোর অভ্যন্তরেও এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রুটিতে, না কি চালকের ভুলে ওই ঘটনা ঘটেছে তা জানতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কেন এবং কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তা জানতে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটি না কি গাফিলতি, তা নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement