ফাইল চিত্র।
গঙ্গায় গিয়ে মিশছে এমন ২২টি নালাকে চিহ্নিত করে দূষণ রোধের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। দূষণ কী ভাবে রোধ করা যাবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরির জন্য পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগের পথও নিয়েছে তারা। কিন্তু গঙ্গার দূষণ রোধের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা কিছু সংস্থা থেকে শুরু করে পরিবেশকর্মীদের একাংশ প্রকল্পটি নিয়ে সন্দিহান। তাঁদের বক্তব্য, গঙ্গার দূষণ রোধের প্রকল্প নতুন কিছু নয়। বহু বছর ধরেই এ নিয়ে কথাবার্তা হয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। যদিও কেএমডিএ-র বক্তব্য, দূষণ রোধের জন্যই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তা বাস্তবায়িতও করা হবে।
গঙ্গা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এক সংস্থার আহ্বায়ক গৌতম দে সরকার জানালেন, গঙ্গার উপনদীগুলিতেও নিকাশি নালার বর্জ্য গিয়ে মেশে। সেই বর্জ্য সবটাই গিয়ে পড়ে গঙ্গায়। সেই দূষণ রোধের জন্য যে সংখ্যক নিকাশি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট তৈরির দরকার ছিল, তা করা হয়নি। গৌতমবাবুর কথায়, ‘‘গঙ্গার দূষণ রোধে এখনও ৬০ শতাংশ কাজই সম্পূর্ণ হয়নি। বিভিন্ন সময়ে শুধু নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’’ পরিবেশকর্মীদের একাংশের আবার দাবি, যে নিকাশি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টগুলি তৈরি হয়েছে, তাদের মধ্যে একাধিক প্লান্টই বর্তমানে কাজ করে না। এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘রাজ্যে যে ক’টি নিকাশি বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট রয়েছে, তাদের মধ্যে কতগুলি কাজ করে, তার একটি তালিকা তৈরি করলেই বর্তমান পরিস্থিতি বোঝা যাবে!’’ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, সারা রাজ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে দু’শোর মতো নালা রয়েছে যেগুলি গঙ্গায় গিয়ে মিশছে। কিন্তু তার মধ্যে যদি তিনটি নালার বর্জ্যও গঙ্গায় পড়া আটকানো যায়, তা হলেই দূষণ অনেকটা কমানো যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘নাজিরগঞ্জ খাল, বালিখাল ও আদিগঙ্গা, এই তিনটির বর্জ্য যদি গঙ্গায় পড়া থেকে আটকানো যায়, তা হলেই গঙ্গা দূষণের ৭০ শতাংশ রোধ করা সম্ভব।’’