এলআইসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
জীবন বিমা নিগম (এলআইসি)-এর শেয়ার বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝাঁঝ বাড়ছে দেশ জুড়ে। সোমবার পথে নেমে সরব হয়েছিলেন কর্মচারীরা। মঙ্গলবার গোটা দেশে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধকে কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে পরিবর্তন না করলে, আন্দোলন আরও তীব্র করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন।
গত শনিবার বাজেট ঘোষণার সময়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, জীবন বিমা নিগমের ১০০ শতাংশ অংশীদারির একাংশ বিক্রির পথে হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার। বাজারে আসবে এলআইসি-র শেয়ারও। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে দেশ জুড়ে এলআইসি কর্মীরা কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন। কলকাতার চাঁদনি চকের কাছে এলআইসি ভবনের সামনেও কয়েকশো কর্মচারী জড়ো হন।
তাঁদের দাবি, অংশিদারিত্বের একাংশ বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার পরই গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশে ২৩টি বেসরকারি বিমা কোম্পানির সঙ্গে লড়াই করে বর্তমানে এলআইসি এক নম্বরে রয়েছে। জীবন বিমার ক্ষেত্রে তাদের দখলে রয়েছে বিমা বাজারের ৭৪ শতাংশ। লাভজনক একটি সংস্থাকে কেন বিলগ্নিকরণের চেষ্ট হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বলেই দাবি করেছেন ওই কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সকলে জানত দুঁদে পুলিশকর্তা, ধরা পড়তেই বেরিয়ে এল আসল পরিচয়
যদিও কত শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে, তা এখনও জানায়নি কেন্দ্র। অল ইন্ডিয়া ইনসিওরেন্স এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘হঠাৎ করে শেয়ার বিক্রি করার কথা ঘোষণা করায় বহু গ্রাহক আতঙ্কিত। তাদের উদ্দেশে বলছি, আমরা তা হতে দেব না। এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই। কত শতাংশ শেয়ার ছাড়া হবে, তা কেন্দ্র জানায়নি। আমরা আন্দোলন আরও তীব্র করব।”
আরও পড়ুন: প্রথম দিনের যান চলাচলে পাশ নম্বর
জীবন বিমা কর্মচারী সমিতি (কলকাতা ডিভিশন)-র সাধারণ সম্পাদক অমিতেশ সরকারের বক্তব্য, ‘‘শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে আসলে বেসরকারি কোম্পানিগুলির হাত শক্ত করতে চাইছে কেন্দ্র। এলআইসি-র শেয়ার বাজারে এলে সাধারণ মানুষের কত জন তা কিনতে পারবেন? বড় বড় কোম্পানিগুলি শেয়ার কিনে এলআইসি-কে নিয়ন্ত্রণ করবে।”