—প্রতীকী চিত্র।
এগারো বছরের এক বালককে ধর্ষণের অভিযোগে মধ্য পঞ্চাশের এক ব্যবসায়ীকে দোষী সাব্যস্ত করল কলকাতার নগর দায়রা আদালত। ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে ইমাম আলি নামে ওই ব্যবসায়ীর।
ঘটনাটি ঘটেছিল, ২০১৫-র ১৫ সেপ্টেম্বর। পার্ক স্ট্রিট থানার ইলিয়ট রোডে নিজের বাড়ির তিনতলায় ১১ বছরের প্রতিবেশী বালককে লজেন্সের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায় ইমাম আলি। এর পর ওই বালককে ধর্ষণ করে ইমাম। ঘটনার পর ওই বালকটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে বালকের পরিবার।
ইমামকে গ্রেফতার করার ৪৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেনপার্ক স্ট্রিট থানার তদন্তকারী আধিকারিক তন্ময় দাস। ২০১৫-র ডিসেম্বরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ এবং পকসো (প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনের ৪,৮,১২ ধারায় ইমামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। সরকারি আইনজীবী সৈকত পাণ্ডে বুধবার জানিয়েছেন, এই মামলায় ৫ জন সাক্ষী ছিলেন। এ দিন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ শুক্লা সেনগুপ্ত ইমামকে সব ক’টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার সাজার মেয়াদ ঘোষণা করবেন বিচারক।
আরও পড়ুন:বৈঠকে সন্তুষ্ট রাজ্যপাল, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য সিএএ বিরোধী বিজ্ঞাপন নিয়ে
অন্য দিকে, উল্টোডাঙা থানা এলাকায় সাত বছরের এক বালিকাকে যৌন হেনস্থা করার ঘটনায় দোষীর পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহের পকসো আদালত। এই ঘটনাটি ঘটেছিলচলতি বছরের ১৫ অক্টোবর। ক্যানাল ইস্ট রোডের একটি ঝুপড়ির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে মস্তান নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দু’মাসের মধ্যে এই মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন। অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের কারাদণ্ড।
আরও পড়ুন:মুসলিম নন বলে নিশ্চিন্ত! মূর্খের স্বর্গে আছেন, পোস্ট সৌরভ-কন্যা সানার