কলকাতা মেট্রো পরিষেবা। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা শিয়ালদহ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে পারে। সূত্রের খবর, এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কাজ অনেকটাই সেরে ফেলেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সব কিছু ঠিক থাকলে ওই পরিকল্পনা মতোই এগোবেন কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে মেট্রোর সিগন্যাল ব্যবস্থা এবং ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গিয়েছে তৃতীয় একটি নিরপেক্ষ সংস্থা। সর্বসাধারণের জন্য পরিষেবা শুরু করার আগে ওই নিরপেক্ষ সংস্থা বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট সার্টিফায়ারের শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। মেট্রো সূত্রের খবর, ট্রেন চলাচল, সিগন্যাল ব্যবস্থা এবং প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের মধ্যে উপযুক্ত সমন্বয় হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব ওই সংস্থারই। গত কয়েক মাস ধরে টানা মহড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই তার ফলাফল ওই সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এ বার সামগ্রিক ভাবে ওই সংস্থার ছাড়পত্র পেলেই মেট্রো কর্তৃপক্ষ ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’র কাছে পরিদর্শন এবং যাত্রী নিয়ে ছোটার চূড়ান্ত অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে পারবেন। মেট্রো সূত্রের খবর, ওই নিরপেক্ষ সংস্থার ছাড়পত্র আর কিছু দিনের মধ্যেই চলে আসার কথা।
ওই ছাড়পত্র পেলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ যাত্রী পরিষেবা চালু করার জন্য ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’র ছাড়পত্র চাইবেন। তার আগে অবশ্য অগ্নি-সুরক্ষা সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার পালা। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থার বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্র বিদেশ থেকে আনাতে হয়েছে। তবে যে সব যন্ত্রের চাহিদা কর্তৃপক্ষের ছিল, তার প্রায় সবই এসে গিয়েছে বলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি লাইন ব্যবহার করে ট্রেন চালানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আপাতত যাত্রীরা এক নম্বর এবং দু’নম্বরে দু’টি ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ট্রেনে চড়তে পারবেন।