সূচনা: সল্টলেকে মাটির উপরের এই পথ ধরেই চলা শুরু করবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। বুধবার, করুণাময়ী স্টেশনে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
কখন: সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট
কোথায়: সেক্টর ফাইভ স্টেশনে
উদ্বোধক: রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল
নতুন কী কী
• প্ল্যাটফর্মে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ স্ক্রিন ডোর
• সব ট্রেন বাতানুকূল
• ট্রেন নিয়ন্ত্রণের সব ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়
• প্রতি কামরায় ডিসপ্লে বোর্ড ও চারটি সিসি ক্যামেরা
• আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চালকের সঙ্গে কথা বলার জন্য মাইক্রোফোন
• প্রত্যেক কামরায় হুইলচেয়ার রাখার ব্যবস্থা
• বয়স্ক এবং অশক্ত যাত্রীদের জন্য প্রতি স্টেশনে একাধিক লিফট এবং এসক্যালেটর
• প্রত্যেক স্টেশনে সুইস সংস্থার বড় ঘড়ি
• স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন
• পাঁচ নম্বর সেক্টরে পার্কিংয়ের জায়গা
• প্রতি স্টেশনে শৌচাগার
প্রযুক্তি: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর। নিজস্ব চিত্র
খুঁটিনাটি
• দূরত্ব: ৪.৮ কিলোমিটার (সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম)
• স্টেশন: ৬টি (সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল, সল্টলেক স্টেডিয়াম)
• সময়: পুরো যাত্রাপথ যেতে ১৪ মিনিট
• ট্রেনের গতি: ৮০ কিলোমিটার/ ঘণ্টা
• পরিষেবা: সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা
• কতক্ষণ অন্তর ট্রেন: ২০ মিনিট
• স্টেশনে থামবে: ২০ সেকেন্ড
• ট্রেনের সংখ্যা: ৫টি
• ভাড়া: প্রথম দুই কিলোমিটারের জন্য ৫ টাকা। সর্বাধিক ১০ টাকা
• কলকাতা মেট্রোর স্মার্ট কার্ডও ব্যবহার করা যাবে
সেক্টর ফাইভ স্টেশনে মশা তাড়াতে ধোঁয়া। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ইতিবৃত্ত
• ২০০৯: নির্মাণকাজ শুরু। স্পেনের এক সংস্থাকে কামরা নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়। তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা।
• ২০১১: সুভাষ সরোবর থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু।
• ২০১২: বৌবাজারে জমি নিয়ে সমস্যা হওয়ায় থমকায় কাজ। যাত্রাপথ বদলের প্রস্তাব রাজ্য সরকারের। দত্তাবাদের কাছেও জমি নিয়ে সমস্যা। পুনর্বাসনের দাবিতে আটকাল কাজ।
• ২০১৪: দেরির জেরে প্রকল্প থেকে বেরিয়ে গেল স্পেনের কোচ নির্মাণ সংস্থা।
• ২০১৫: মেট্রোর যাত্রাপথ বদলের সিদ্ধান্ত মেনে নেয় রেলবোর্ড এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা জাইকা। জমি সমস্যার জেরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা বাতিল। দত্তাবাদে একটি অংশ ছাড়া সল্টলেক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত কাজ শেষ।
• ২০১৬: কোচ নির্মাণের বরাত দেওয়া হল বেঙ্গালুরুর সংস্থা ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেডকে। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খননের কাজ শুরু।
• ২০১৭: মার্চ মাসে দত্তাবাদের ৩৬৫ মিটার অংশে কাজ শুরু। অক্টোবর মাসে শেষ।
• ২০১৮: পৌঁছল ডেমো-কোচ। জুলাইয়ে সেক্টর ফাইভ থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে চলে মেট্রো। সিগন্যাল ও স্ক্রিন ডোরের কাজ শেষ না হওয়ায় সেপ্টেম্বরে পিছিয়ে যায় উদ্বোধন। প্রথম পর্বে সেক্টর ফাইভ থেকে ফুলবাগানের বদলে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত।
• ২০১৯: চালকদের প্রস্তুতির অভাবে পুজোর আগে ফের পিছোয় উদ্বোধন। নভেম্বরে প্রস্তুতি শেষ হয়। কিন্তু মেট্রোর ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার তড়িঘড়ি প্রকল্প শুরু করতে চাননি। দু’মাস পিছিয়ে যায় উদ্বোধন।