—ফাইল চিত্র।
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর পাশাপাশি আগামী সোমবার থেকে যাত্রীদের জন্য খুলে যাচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও। বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়েছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম থাকায় যাতায়াতের জন্য ই-পাস লাগবে না। শুধু স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করেই যাতায়াত করা যাবে। উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর মতোই সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পরিষেবা চালু থাকবে ইস্ট-ওয়েস্টে। রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো। সারা দিনে ২০ মিনিট অন্তর সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত ট্রেন চলবে। দিনের অন্তিম মেট্রো দুই প্রান্তিক স্টেশন থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। পুজোর আগেই ফুলবাগান পর্যন্ত পরিষেবা চালু করে দেওয়া হতে পারে বলে এ দিন জানান মেট্রোর জিএম।
নিট পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে আগামী রবিবার মেট্রো চলাচলের সময় এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। বেলা ১১টার পরিবর্তে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ১৫ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। এর জন্য ট্রেনের সংখ্যা ৬৬ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ করা হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর যাত্রীদের ক্ষেত্রে ই-পাস বাধ্যতামূলক। রাজ্য পরিবহণ দফতরের ‘পথদিশা’ অ্যাপ ছাড়াও মেট্রো রেলের ওয়েবসাইট এবং নিজস্ব অ্যাপ থেকে ই-পাসের লিঙ্ক মিলবে। যাত্রীরা তাঁদের প্রয়োজন মতো এক ঘণ্টার জন্য মেট্রো সফরের স্লট বুক করতে পারবেন। তবে যাত্রী সংখ্যা অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেলে পাস মিলবে না। সে ক্ষেত্রে অন্য সময়ে আবেদন করতে হবে। যাঁদের স্মার্টফোন নেই, তাঁরা ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকেও ই-পাস ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে কিউআর কোড-যুক্ত পাসের রঙিন প্রিন্ট আউট নেওয়া বাধ্যতামূলক। কারণ, ই-পাসের নির্দিষ্ট রং থাকায় সাদা-কালো প্রিন্ট আউট গ্রাহ্য হবে না।
মেট্রো সূত্রের খবর, যাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী ট্রেনের কামরায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রত্যেক স্টেশনে ট্রেন থামার সময়সীমা ২০ সেকেন্ড থেকে বাড়িয়ে ৩০ সেকেন্ড করা হয়েছে। মেট্রো স্টেশনে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করা ছাড়াও নতুন কার্ড কেনার সুযোগ মিলবে। দমদম, এসপ্লানেড, রবীন্দ্র সদন, পার্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরোবর, মহানায়ক উত্তমকুমার এবং শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে স্মার্ট কার্ড ভেন্ডিং মেশিনে রিচার্জ করা ছাড়াও নতুন কার্ড কেনা যাবে। যাঁদের স্মার্ট কার্ডের মেয়াদ ইতিমধ্যে ফুরিয়ে গিয়েছে অথবা চলতি মাসের পরে ফুরিয়ে যাবে, তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ১০০ টাকার রিচার্জ করতে হবে। না-হলে কার্ডের বৈধতা থাকবে না।
আরও পড়ুন: প্রদেশ কংগ্রেসের ভাগ্যে ফের ‘পরিযায়ী’ সভাপতি
আরও পড়ুন: মস্কোয় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ।। আগে সেনা সরাক চিন: জয়শঙ্কর
স্টেশনে ঢোকার সময়ে যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। শিশু এবং বয়স্ক যাত্রীদের মেট্রোয় যাতায়াত না-করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ় করে নিতে হবে। প্রতিটি কামরায় একটি করে আসন ফাঁকা রেখে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা থাকছে। একটি ট্রেনে সর্বাধিক ৪০০ জন উঠতে পারবেন বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
এ দিকে, স্মার্ট কার্ড ছাড়া মেট্রোয় চড়া যাবে না, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে গরিব মানুষের মেট্রো চড়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল বলে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। সংস্থার তরফে রঞ্জিত শূর জানান, এর প্রতিবাদে পথে নামবেন তাঁরা।