—ফাইল চিত্র।
শিয়ালদহ উড়ালপুলের নীচ দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খননের কাজ নির্বিঘ্নেই শেষ হল। দ্রুত কাজ শেষ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৩ ঘণ্টা আগে, রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ খুলে দেওয়া হয় ওই উড়ালপুল। যদিও, গত ২ অক্টোবর থেকে আজ, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা ছিল উড়ালপুলটি।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতেই উড়ালপুলের নীচের অংশ (ইনফ্লুয়েন্স জো়ন) নির্বিঘ্নে পেরিয়ে গিয়েছে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) ‘উর্বী’। রবিবার দুপুর পর্যন্ত টানা কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি নজরে রাখেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা চোখে না পড়ায় এ দিন বিকেলেই শিয়ালদহ উড়ালপুল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সুড়ঙ্গ খননের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের দাবি, বৌবাজারে যে ভাবে জল, বালি এবং নরম কাদামাটির মুখে পড়তে হয়েছিল টিবিএম-কে, এ ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। মাটির মান ভাল হওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ হয়েছে। উর্বী শিয়ালদহ উড়ালপুলের অংশ অতিক্রম করে যাওয়ায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ কার্যত সম্পূর্ণ হওয়ার মুখে। আর কয়েক মিটার এগোলেই নির্মীয়মাণ শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে যাবে সুড়ঙ্গ। আপাতত উর্বীকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। তার পরেই বাকি অংশের সুড়ঙ্গ খনন শুরু হবে।
আগামী শুক্রবার, ওই স্টেশনে উর্বীর পৌঁছনোর কথা। সুড়ঙ্গের পরিধির মাপে ওই মেট্রো স্টেশনের কংক্রিটের প্রাচীরের মধ্যে একটি নরম অংশ (সফট আই) আগেই তৈরি করে রাখা হয়েছে। তুলনামূলক নরম ওই অংশের কংক্রিটে সাধারণত ইস্পাতের রড ব্যবহার করা হয় না। ফলে উর্বী অনায়াসেই তা অতিক্রম করতে পারবে। ওই পর্বকে ‘টানেল ব্রেক থ্রু’ বলছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের আধিকারিকেরা। সুড়ঙ্গ নির্মাণ সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অন্তিম পর্বের কাজ অনুষ্ঠান করে শেষ করাটাই রীতি। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হতে পারে।’’ এর পরে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে পারে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ।